সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সারাদেশে ১৫ হাজার ২৩৩টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স (সনদ) রয়েছে। অন্যদিকে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক রয়েছে ১ হাজার ২৭টি। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে এমন প্রতিবেদন দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রাজধানীর বাড্ডার সাতারকূলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার পর পাঁচ বছরের শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় করা রিট শুনানিতে হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে। আদালত এটি হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেছে।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তিনি বলেন, প্রতিবেদনে এসেছে সারাদেশে এক হাজারের বেশি সনদবিহীন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক রয়েছে। আদালতে এটি হলফনামা করে দাখিল করা হবে।
গত ৩১ ডিসেম্বর সুন্নতে খতনা করাতে আয়ানকে বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার বাবা-মা। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে আয়ানকে গুলশান-২-এর ইউনাইটেড হাসপাতালের শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হলে ৭ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়। আয়ানের পরিবার হাসপাতালের অবহেলার অভিযোগ তোলেন। এ মৃত্যুতে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। ইতিমধ্যে বাড্ডার ওই হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আয়ানের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।
গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট আয়ানের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে রুলসহ ঘটনার তদন্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে সারা দেশে অনুমোদিত ও অনুমোদনহীন হাসপাতালের তালিকা এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি আয়ানের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হলে হাইকোর্ট এটিকে হাস্যকর ও লোকদেখানো বলে মন্তব্য করে। এর ধারাবাহিকতায় এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়।