ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার কাইলানী হাওরের টঙ্গী ফসলরক্ষা বাঁধের ৯৬নং প্রকল্পকাজটি ব্যক্তিমালিকানাধীন বীজতলার ওপর দিয়ে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের কাইলানী হাওরটি সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন। এই হাওরের টঙ্গী ফসলরক্ষা বাঁধের ৯৬নং প্রকল্প কাজটির দৈর্ঘ্য ২২০মিটার। এতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এই কাজের পিআইসির সভাপতি হলেন দিলীপ সরকার ও সদস্য সচিব হলেন রাকেশ দাস। কিন্তু এই বাঁধের স্থান নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটি সভা করে বিষয়টি লিখিতভাবে সুনামগঞ্জ জেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটিকে অবগত করেন।
জেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটির ৩জন সদস্য গত ৩১ জানুয়ারি সরেজমিনে এসে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পিআইসি কমিটিকে বাঁধের কাজ শুরু করার জন্য নির্দেশনা দেন। এ অবস্থায় গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে এই বাঁধের কাজটি শুরু করা হয়।
বাঁধ সংলগ্ন উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সানবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিমল মজুমদার (৫৭) ও প্রণব মজুমদার (৩৭) বলেন, যে স্থান দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে সেই এলাকায় আমাদের রেকর্ডীয় বীজতলা ও পারিবারিক শ্মশান রয়েছে। বাঁধের নকশা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে না। পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিবকে আমরা বাঁধা দিলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত দুই শতক বীজতলা বিনষ্ট হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
৯৬ নং পিআইসির সভাপতি দিলীপ সরকার ও সদস্য সচিব রাকেশ দাস বলেন, যিনি এই বীজতলার মালিক তাঁর সঙ্গে কথা বলেই এই বাঁধের এই কাজটি করছি। এ নিয়ে যারা অভিযোগ করছেন তাঁদের এখানে রেকর্ডীয় কোনো জমি নেই।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলা কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী এই বাঁধে কাজ করার জন্য পিআইসি কমিটিকে বলা হয়েছে। বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে সরেজমিনে গিয়ে দেখে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি বিনষ্ট করা যাবে না। এমনটি হয়ে থাকলে নিয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।