হোসাইন আহমদ ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের পুত্র সাদাত মান্নান অভি। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে এই তথ্য জানাগেছে। ইতোমধ্যে উপজেলাজুড়ে তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। সজ্জন রাজনীতিবিদ, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী, বর্তমান সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মান্নানের পুত্র সাদাত মান্নান অভিকেই যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মনে করছেন অনেকেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে আলাপ হলে তারা জানান, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নানের পুত্র সাদাত মান্নান অভি যুক্তরাজ্য প্রবাসী হলেও তিনি বিগত দ্বাদশ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী তার পিতার পক্ষে শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার গ্রামগঞ্জে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। বিশেষ করে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যান এবং দলমত নির্বিশেষে সাবলীল চলাফেরা, আচার আচরণে, ভদ্রতা ও মার্জিত ব্যবহারে একজন বিনয়ী ও ভালো মানুষ হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। যার ফলে শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে প্রস্তাব আসতে থাকে এবং গ্রাম-গঞ্জে ব্যানার ফেস্টুন ও ফেসবুকেও তাকে নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। এমন প্রেক্ষাপটে জনপ্রত্যাশা পূরণে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাদাত মান্নান অভি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করবেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর কোন স্থাপনা না থাকলেও এমএ মান্নানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শান্তিগঞ্জ উন্নয়নে বদলে গেছে। এমএ মান্নান একজন সৎ, নির্লোভ মানুষ এবং সজ্জন ব্যক্তি। সাদাত মান্নান অভি তার তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি। তাঁর হাত ধরে শান্তিগঞ্জ উপজেলা উন্নয়নে আরও এগিয়ে যাবে। এ জন্য লন্ডন ব্যার্কলেইজ ব্যাংকের এমডি, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাদাত মান্নান অভিকেই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান উপজেলাবাসী।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক নুর আলম জানান, সাদাত মান্নান অভি একজন সুশিক্ষিত, ভদ্র এবং বিনয়ী মানুষ। তাঁকে নিয়ে আমরা গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি গ্রামে ও হাট-বাজারে গিয়েছি। এত মার্জিত মানুষ তিনি যা এর আগে কখনও আমরা দেখিনি। এলাকার মানুষ তাঁকে নিয়ে আগামীর স্বপ্ন দেখেন। আমরাও চাই আগামীর নেতৃত্বে এই রকম যোগ্য মানুষ প্রয়োজন। আমরা দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষসহ সকলেই চাই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাদাত মান্নান অভি ভাইকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করতে। আমরা বিপুল ভোটের মাধ্যমে অভি ভাইকে নির্বাচিত করবো ইনশাআল্লাহ।
দরগাপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির উদ্দিন জানান, যোগ্য ব্যক্তির যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে ইতোমধ্যে সাদাত মান্নান অভি ব্যাপকভাবে পরিচিতি পেয়েছেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাদাত মান্নান অভি ভাইকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার জন্য আমরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। এমন মানুষ জনপ্রতিনিধি হলে এলাকার উন্নয়ন আরো অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ স¤পাদক সাংবাদিক সোহেল তালুকদার বলেন, সজ্জন রাজনীতিবিদ, সাবেক সফল পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপির মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলায় যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আর কোন এমপি বা মন্ত্রী এতো উন্নয়ন করতে পারেননি। এর ফলশ্রুতিতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাদাত মান্নান অভিকে নিয়ে এলাকার নেতাকর্মীরা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। এটা মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আমরা মনে করে, তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী তহুর আলী জানান, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবর্জনামুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সৎ ও মেধাবী, যোগ্য ব্যক্তিকেই আমরা নির্বাচিত করবো। আমরা এমন একজন মানুষকে বাছাই করেছি, যার কোন কলঙ্ক নাই, যার কোন অহংকার নাই। যিনি একদম সাদামনের মানুষ। তিনি আমাদের হাওর এলাকার উন্নয়নের মহানায়ক জননেতা এমএ মান্নান এমপির সুযোগ্য পুত্র সাদাত মান্নান অভি। তাঁকে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এমএ মান্নান এমপির সাবেক রাজনৈতিক সচিব ইকবাল হোসেন জানান, সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি স্যারের সুযোগ্য পুত্র সাদাত মান্নান অভি ভাই একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ। তিনি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন। এরই মধ্যে নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ শুরু করেছেন। হাট-বাজারগুলোতে প্রচারণা চলমান আছে। অভি ভাই কয়েক দিনের মধ্যেই এলাকায় আসবেন। তখন আরো ব্যাপকভাবেই প্রচারণা চালানো হবে। এলাকায় এসেই মানুষের ঘরে-ঘরে যাবেন তিনি। সবার দোয়া নিয়ে গণসংযোগে নামবো আমরা।