স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বার্ষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন। তিনি বলেন, বিচার পরিচালনায় চিকিৎসা সনদ, ময়না তদন্তের প্রতিবেদন ও পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলে বিলম্ব হলে বিচার পেতে অনেক দেরি হয়। অফিসিয়াল সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণেও বিচার কার্যক্রম বিঘিœত হয় এবং দ্রুত বিচার সেবা পেতে পারে না। তিনি আরও বলেন, জনগণের সাংবিধানিক অধিকার আছে বিধায় উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিতেই এই সম্মেলনের আয়োজন। সুনামগঞ্জ জেলার বিচারপ্রার্থী জনগণের বিচারকার্য দ্রুত স¤পন্ন করতে বিচার সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম গতিশীল করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিচারপ্রার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ প্রশাসন, চিকিৎসক, নির্বাহী বিভাগসহ সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন-এর সভাপতিত্বে ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সুলেখা দে-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রোকনুজ্জামান (সিনিয়র জেলা জজ), চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, বিজিবি অধিনায়ক মো. মাহবুবুর রহমান, পিবিআই পুলিশ সুপার খালেক উজ জামান, সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শুকদেব সাহা, সুনামগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনিসুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রতিনিধি মো. ইকবাল সিকদার, সিপিবি-৩ এর কমান্ডার মো. মতিয়ার রহমান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১ ম আদালত) ঝলক রায়, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) তাসলিমা শারমিন, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল বিচারক রশিদ আহমেদ মিলন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (১ম আদালত) কাঁকন দে, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) শ্যাম কান্ত সিনহা, সিনিয়র সহকারী জজ (জগন্নাথপুর) সুবর্ণা সিনহা, সিনিয়র সহকারী জজ (সদর ও শাল্লা, ভারপ্রাপ্ত) প্রবাল চক্রবর্তী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী জজ (ছাতক) আনিসুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইসরাত জাহান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চৌকি আদালত, ধর্মপাশা উপজেলা) মিছবাহ উদ্দিন আহমেদ, সহকারী জজ (দিরাই) তানজিনা নাফিজ, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর, সহকারী জজ (ধর্মপাশা) আসিফ আলম চৌধুরী, সহকারী জজ (বিশ্বম্ভরপুর) আরিফুর রহমান, সহকারী জজ (তাহিরপুর) নাজমুল হাসান, সহকারী জজ (শাল্লা) ইতি বণিক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নজরুল ইসলাম সেফু, সাধারণ স¤পাদক অ্যাড. শেরেনুর আলী, পাবলিক প্রসিকিউর অ্যাড. খায়রুল কবীর রোমেন, সরকারি কৌশলী অ্যাড. আক্তারুজ্জামান সেলিম, জেল সুপার মো. সরিফুল আলম, অফিসার ইনচার্জ (ডিবি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, সিলেট বিভাগের দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. জাবেদ হাসিব, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এস এম বুরহান উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিমকে বছরের সেরা বিচারক হিসেবে পুরস্কার প্রদান করা হয়।