মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
মধ্যনগর উপজেলার চারটি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ৩২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সদস্যরা এখনো বাঁধের কাজের বরাদ্দের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাননি। অথচ কাজ শেষ করার আর মাত্র ১৭দিন বাকি রয়েছে। অর্থাভাবে বাঁধের এসব প্রকল্প কাজ চলছে ধীর গতিতে। এতে করে হাওরের বোরো ফসলরক্ষা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন হাওরপাড়ের কৃষকেরা।
নীতিমালা অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বরে মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু করে তা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে।
মধ্যনগর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মধ্যনগর উপজেলার চারটি হাওর সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন। হাওরগুলো হচ্ছে- গুরমা, ঘোড়াডোবা, রুই বিল ও কাইলানী। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর এই উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। চারটি কিস্তিতে বাঁধের প্রকল্প কাজের টাকা পিআইসিদেরকে পরিশোধ করার কথা রয়েছে। মধ্যনগরে চারটি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ৩২টি প্রকল্প কাজের বিপরীতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। পিআইসিদের প্রথম কিস্তির চেক দেওয়া হয়েছে গত ১১ জানুয়ারি। বাঁধের প্রকল্প কাজে দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ চাহিদা রয়েছে এক কোটি ৫০লাখ ৭৫হাজার টাকা। এর মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ৭৪লাখ টাকা। মধ্যনগরে ৩২টি প্রকল্পে গড়ে ৬৫ ভাগ মাটির কাজ শেষ হয়েছে।
হাওরপাড়ের কৃষকদের অভিযোগ, ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প কাজে কিস্তির টাকা কখনো সময় মতো দেওয়া হয়না। এতে করে সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় হাওরের ফসলডুবির ঘটনা ঘটে থাকে।
মধ্যনগর উপজেলার ঘোড়াডোবা হাওরের ১নং পিআইসির সভাপতি নান্টু লাল সরকার বলেন, আমাদের দুই কিলো ৫১০মিটার কাজের জন্য ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৯০ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। অনেক দূর থেকে আমাদেরকে মাটি এনে বাঁধের উপর ফেলতে হচ্ছে। কাজের বরাদ্দের প্রথম কিস্তির টাকা পেলেও ধারদেনা করে বাঁধের কাজ করে ফেলেছি দ্বিগুণ। দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দের টাকা না পাওয়ায় কাজের গতি কমে এসেছে। দ্রুত দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
মধ্যনগরের ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, চাহিদার তুলনায় ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প কাজের দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ যে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা পর্যাপ্ত নয়। যা আমরা বরাদ্দ পেয়েছি সেই টাকা শিগগিরই পিআইসিদের মধ্যে বিতরণ করবো।