স্টাফ রিপোর্টার ::
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় লাইব্রেরির মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য কবি ও লেখক ড. মোহাম্মদ সাদিক। তিনি বলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিকে কেন্দ্র করে বিগত প্রায় ৫০ বছর আগে অনেক লেখক, কবি, নাট্যকার, সাহিত্যিক ও গীতিকার সৃষ্টি হয়েছেন। যারা এখন জীবদ্দশায় অনেকেই নেই। তিনি বলেন, এই লাইব্রেরিতে বিন্দু বিন্দু জল দিয়ে সিন্ধু সৃষ্টি করে ঢেলে সাজাতে চাই। জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির অবদান রয়েছে।
লাইব্রেরি’র সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, লাইব্রেরির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সেমিনারের সুপারিশমালা প্রকাশনা আকারে প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, লাইব্রেরির পক্ষ থেকে শিক্ষা উপকরণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, ই-লাইব্রেরি থেকে লাইব্রেরিতে এসে বই পড়লে পাঠ্যাভ্যাস গড়ে উঠবে। বইপড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, পৌর মেয়র নাদের বখত, শিক্ষাবিদ প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, সুনামগঞ্জ পৌর কলেজের অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল, সিনিয়র আইনজীবী হুমায়ূন মঞ্জুর চৌধুরী, অ্যাড. সালেহ আহমদ, অ্যাড. শেরেনূর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, অ্যাড. মতিউর রহমান পীর।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন লাইব্রেরির সাধারণ স¤পাদক অ্যাড. খলিল রহমান।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর সৈয়দ মহিবুল ইসলাম, নারীনেত্রী সঞ্চিতা চৌধুরী, কবি লেখক অ্যাড. কল্লোল তালুকদার চপল, অ্যাড. জয়শ্রী দেব, শিক্ষক কানিজ সুলতানা, কবি ও সাংবাদিক শামস শামীম, সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন, মাসুদ আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লাইব্রেরি সহ-সভাপতি কবি ও লেখক সুখেন্দু সেন।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আলী আমজাদকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রয়াত অ্যাড. আলী আমজাদের ছেলে নিয়ামুল বাশার সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে ওইদিন বিকাল ৫টা থেকে পিঠা ও কফি আপ্যায়ন চলে ২ ঘণ্টাব্যাপী। পরে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানে আজীবন সদস্য, দাতা সদস্য ও অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।