স্টাফ রিপোর্টার ::
৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর ধর্মপাশা উপজেলার কংস নদ থেকে আঁখি মণি (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্নও দেখতে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বিল্লাল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলার ঘুলুয়া গ্রাম সংলগ্ন কংস নদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আঁখি মণি ঘুলুয়া গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী ও নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আয়নাল হকের মেয়ে। দেড় বছর আগে আঁখি ও বিল্লালের বিয়ে হয়েছিল।
জানাযায়, গত রোববার সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন আঁখি। খবর পেয়ে পরদিন আঁখির বাবা আয়নাল হক ধর্মপাশা থানায় এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করেন।
ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জানুয়ারি আঁখি স্বামীকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এর ৩ দিন পর সেখান থেকে ফেরত আসার আগে স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় আঁখির। এতে আঁখির ছোটভাই মেহেদী হাসান বাধা দিলে আঁখিকে নিখোঁজ করার হুমকি দেয় বিল্লাল। ওইদিনই আঁখি স্বামীর বাড়িতে ফেরত আসে। কিন্তু গত রোববার সকালে বিল্লাল আঁখির পরিবারে ফোন করে আঁখিকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। পরদিন আঁখির বাবা আয়নাল হক বিল্লালের বিরুদ্ধে আঁখিকে জীবিত বা হত্যা করে কোথাও নিখোঁজ করেছে মর্মে ধর্মপাশা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে বুধবার সকালে বিল্লালের বাড়ির অদূরে কংস নদে স্থানীয়রা আঁখির লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে সকাল ১১টার দিকে পুলিশ আঁখির মরদেহ উদ্ধার করে।
লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় সাথে ছিলেন ধর্মপাশা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ স¤পাদক পপি আক্তার। তিনি বলেন, আঁখির পিঠে কালো দাগ রয়েছে। বুকের বাম পাশে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া গলার সামনের অংশ ফোলা।
গৃহবধূ আঁখির বাবা আয়নাল হক বলেন, আমার মেয়েকে টাকার জন্য নির্যাতন করত বিল্লাল। এর আগে দুইবার টাকা দিয়েছি। এবার টাকা দিতে পারিনি। তাই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছে। এ ঘটনার বিচার চাই আমি।
ধর্মপাশা থানার ওসি মো. শামছুদোহা (পিপিএম) জানান, মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী বিল্লালকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে।