1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ২৬ শতাংশ

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪

 

বিশেষ প্রতিবেদক ::
প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি বেড়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১২৬টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক পণ্য। বিশ্ববাজারে রপ্তানি করা বাংলাদেশি পণ্যগুলোর মধ্যে প্লাস্টিকের অবস্থান ১২তম। বর্তমানে বছরে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রী রপ্তানি করে বাংলাদেশ।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১৬ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। পরের অর্থবছরেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ কোটি ৯৮ লাখ ডলারে। অর্থাৎ এক অর্থবছরের ব্যবধানে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। সেজন্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে ৮৫ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রী রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিআইডিএ) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৫ হাজার ৩০টি প্লাস্টিক কারখানা আছে। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মালিকানায়। স্থানীয় বাজারে বছরে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি হয়। এরমধ্যে পিভিসি পাইপ বিক্রি হয় ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এছাড়া প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার গৃহস্থালী সামগ্রী বিক্রি হয়।
প্লাস্টিক শিল্পখাত নিয়ে যে পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে তার প্রথম ধাপ হলো ধারাবাহিকভাবে ১৫ শতাংশ হারে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। সরকারের লক্ষ্য, ২০২৮ সালের মধ্যে প্লাস্টিক এবং প্যাকেজিং শিল্পের বাজার ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত করা। গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২৩ তে এসব লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে এই খাতে পাঁচ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক এবং প্যাকেজিং পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে শতভাগ বর্জ্যমুক্ত জাতি (জিরো ওয়েন্ট নেশন) হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ঘোষণাও রয়েছে নীতিমালায়।
এই খাতের জন্য নীতিমালার অধীনে কিছু প্রণোদনাও রাখা হয়েছে। সে অনুযায়ী, সরকার প্লাস্টিক পার্ক এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের পাশাপাশি মূলধনী সরঞ্জাম, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং আনুষাঙ্গিক শুল্কমুক্ত আমদানিতে প্রথম ১০ বছরের জন্য আয়কর অব্যাহতি দেবে। এছাড়া বন্দরে পণ্য লোডিং, আনলোডিং, স্টোরেজ বা ক্যাপিটাল ইকুইপমেন্ট আমদানিতে রপ্তানি শুল্ক, শুল্ক, কর ও ফিতে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com