“দেশের ৫০০ পোস্ট অফিসে হবে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট” – গণমাধ্যমে এবংবিধ শিরোনাম ছাপা হয়েছে একজন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে। প্রতিমন্ত্রীর সদিচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁকে অভিবাদন জানাই এবং আশা করি একটি রাষ্ট্রীয় কিংবা সরকারি সংস্থা হিসেবে আমাদের পোস্ট অফিস জনসেবা প্রদানের কার্যক্রমে একটি শক্তিশালী অবস্থানে উপনীত হবে। কিন্তু বিদগ্ধমহলের ধারণা এই যে, পোস্ট অফিসকে কুরিয়ার সার্ভিস ও টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে প্রকৃতপ্রস্তাবে ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট’ করে তোলার কোনও সার্থকতা নেই। কুরিয়ার সার্ভিস ও টেলিযোগাযোগের লাভজনক বা বিপুল মুনাফা অর্জনের ব্যবসায় বেসরকারি বা ব্যক্তিগত খাতে সমর্পণ করে পোস্ট অফিসকে ইতোমধ্যেই ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার করে তোলা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে পোস্ট অফিসকে ফিরিয়ে আনতে হবে। যদি ফিরিয়ে না আনা যায়, তবে যতোই ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট’ করা হোক না কেনো তা ‘সার্ভিস’ বাদে কেবল ‘স্মার্ট পয়েন্ট’-এ পর্যবসিত হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। পুঁজিবাদী কোনও উন্নয়নই প্রকৃতপ্রস্তাবে রাষ্ট্রকে উন্নত করে না, বরং রাষ্ট্র কর্তৃক পুঁজির সেবাদাসত্বকে উন্নয়ন বলে বিজ্ঞাপিত করে।
সমাজসাংস্থিতিক এই পদ্ধতিতে রাষ্ট্র রাষ্ট্রের মালিক জনগণের সেবা করতে পারে না, যেভাবে পুঁজিপতির সেবা করতে পারে। আপাতত এর বেশি কীছু বলতে চাই না। সম্পাদকীয় দপ্তরের পক্ষ থেকে সঙ্গত কারণেই বলা সমীচীন বোধ করছি না।