স্টাফ রিপোর্টার ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জামলাবাদ গ্রামের পাশে সাঙ্গাই হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ৬৩নং প্রকল্পে নানা অনিয়ম উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার এই অভিযোগ দাখিল করেন জামলাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে তাহির উদ্দিন।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালে খসরুজ্জামান পাবেল গংরা এই পিআইসির কাজে নানা অনিয়ম করেছিল। এবারও এই পিআইসির কাজ তারা পেয়েছে। বেড়িবাঁধের কাজের শুরু থেকেই অনিয়ম করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত বৃহ¯পতিবার থেকে ৬৩ নং পিআইসির কাজ শুরু হয়েছে। পিআইসির বাঁধ নির্মাণ কাজের শুরুতে দুবরা বন পরিষ্কার না করে এবং মাটি না কুঁড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণে মাটি ভরাট করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পিআইসি সভাপতি খসরুজ্জামান পাবেল সহ অনেকে জানান যে, যে স্থানে মাটি ফেলা হচ্ছে সেখানের দুবরা বন পরিষ্কার করে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। বেড়িবাঁধ এলাকায় কাজের বিবরণ সম্বলিত সাইবোর্ড টাঙানো নেই কেন – এমন প্রশ্নের জবাবে খসরুজ্জামান পাবেল জানান, আগামী সোমবারের মধ্যে সাইনবোর্ড পাউবো অফিস থেকে পাবো। তখন বেড়িবাঁধ নির্মাণ এলাকায় দৃশ্যমান স্থানে টাঙিয়ে রাখা হবে।
জানাগেছে, এবার এই পিআইসির কাজে প্রায় ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১০৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন স্থানে এই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হবে।
জামলাবাদ গ্রামের শালিস ব্যক্তিত্ব মো. নিজাম উদ্দিন জানান, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে, তারা গত বছরও পিআইসির কাজে অনিয়ম করেছে। এবারও অনিয়ম শুরু করেছে। এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হলেই অনিয়ম বেরিয়ে আসবে।
৬৩নং পিআইসির সভাপতি খসরুজ্জামান পাবেল বলেন, বিগত সময়ে আমার পিআইসির কাজ শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত ছিল। এবারও সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। যতই অভিযোগ হোক না কেন, কোনো অশুভ শক্তির কাছে আমি হার মানব না।