শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নে ট্রাক দিয়ে মাটি আনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় ইউনিয়নের সিচনী গ্রামের মাঠে একই গ্রামের বাসিন্দা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুফি মিয়া ও যুবলীগ নেতা খালিদুর রহমান বাবুল পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটে।
সংঘর্ষে সুফি মিয়া পক্ষের আহতরা হলেন- মৃত হাজি গোলাম রব্বানীর ছেলে সুফি মিয়া (৫৫), মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে জাবেদ মিয়া (৩৫), মৃত ময়না মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম নজির (৫৫), মৃত সুরুজ আলীর ছেলে আলী নূর হোসেন (৬২), দিলোয়ার হোসেন (৪৬), আনোয়ার হোসেন (৫৮), আনোয়ার হোসেনের ছেলে মঞ্জুর আহমদ (৩২), রিদোয়ান হোসেন, মৃত আবদুল খালিকের ছেলে সেলিম রেজা (৪৭), তাজুদ মিয়ার ছেলে পাবেল আহমদ (২৩), সুফি মিয়ার ছেলে ইফতেখার আহমদ ফাহিম (২৩), মৃত রাকীব আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম, মৃত মরম আলীর ছেলে তাজুদ মিয়া, আলীনূর হোসেনের ছেলে শিব্বির আহমদ, আবদুল মনাফের ছেলে আবদুর রহমান (৫৬), আবদুর রহমানের ছেলে সুয়েব মিয়া (১৯), আবদুল হান্নানের ছেলে হাসান মিয়া (২৮) ও মখদ্দুছ আলী (৫৪)। আহতদের চিকিৎসার জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও এপক্ষের আরও ১০/১২ জন আহত স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
খালিদুর রহমান বাবুলের পক্ষের আহতরা হলেন- সিচনী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে প্রাক্তন মেম্বার জামিল আহমেদ পায়েল (২৮), জুবায়েল আহমেদ (২৬), মৃত আবদুর হামিদের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৫৫) ও চাঁন মিয়ার ছেলে লেবু মিয়া (৪৫) ও মৃত আবদুল বারীকের ছেলে ইমান উদ্দিন। তারা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ পক্ষের আরও প্রায় ১০ জন আহত ব্যক্তি স্থানীয় হাসপাতাল ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবারে হাওর থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ট্রাকে করে পৃথকভাবে মাটি কাটান দরগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুফি মিয়া ও খালিদুর রহমান বাবুলের পক্ষের লোক, সিচনী গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার জামিল আহমেদ পায়েল। নিজ নিজ জায়গা বুঝে এই মাটির ট্রাক আনা-নেওয়ার কথা বলে উভয়পক্ষই একে অন্যকে বাধা দেন। এই ঘটনার জের ধরেই সোমবার সকালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি মোক্তাদির হোসেন বলেন, সংর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। কোনো পক্ষই অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।