স্টাফ রিপোর্টার ::
ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, প্রয়াত জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ-এর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি)। এ উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে আজ সকাল ৯টায় কুরআন খতম, ১১টায় ঢাকার বনানীতে মরহুমের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও যুব কমান্ডের উদ্যোগ সোমবার ১২টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদে কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আব্দুস সামাদ আজাদের নির্বাচনী এলাকা জগন্নাথপুর, শান্তিগঞ্জেও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদ তৎকালীন সিলেট জেলার জগন্নাথপুর থানার ভুরাখালি গ্রামে ১৯২২ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪০ সালে সুনামগঞ্জ জেলা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৪৬ সালে একই সংগঠনের অবিভক্ত আসামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তাঁর সিদ্ধান্তে ও নেতৃত্বে প্রথম ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয়। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন এবং আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক স¤পাদক হন।
১৯৫৮ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং সর্বদলীয় রাজনৈতিক জোট এনডিএফ-এর দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে এমএনএ নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠকের একজন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন এবং জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন আব্দুস সামাদ আজাদ।
১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের এবং ১৯৯৬-এর জনতার আন্দোলনের অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়ীত্ব পালন করেন। সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় সফল পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন আব্দুস সামাদ আজাদ।
সর্বশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।