দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনের দোয়ারাবাজারে নির্বাচন পরবর্তী নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জনমনে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। সংঘর্ষের দিন ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের পরিত্যক্ত গুলি উদ্ধার হলেও এখন পর্যস্ত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। অন্যদিকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবারও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে শুক্রবার উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল খালেকের পুত্র এবং উপজেলার সদর ইউনিয়নের নৈনগাঁও গাঁও গ্রামের বাবুল মিয়া বাদী হয়ে ৬৫ জনের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
উপজেলা সদরের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের দিন পিস্তলের পরিত্যক্ত একটি গুলি পুলিশ উদ্ধার করলেও এখন পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এ নিয়ে জনসাধারণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার না হলে পরবর্তী সময়ে আরও কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে।
অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে জানতে চাইলে এএসপি (ছাতক-দোয়ারাবাজার সার্কেল) রণজয় চন্দ্র মল্লিক বলেছেন, সংঘর্ষের দিন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ পিস্তলের একটি পরিত্যক্ত গুলিও উদ্ধার করা হয়েছিল। পিস্তল উদ্ধারে পুলিশ তৎপর আছে।
উল্লেখ্য গত বুধবার সকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম স¤পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী (ঈগল) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ-সময় যুবলীগ নেতা আবুল মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় ওইদিন ব্যাপক উত্তেজনা, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ১০৪ রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ। সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছুঁড়া রাবার বুলেটে অন্তত ৪৬ জন আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান বলেছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বিঘœ ঘটানো এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের শীঘ্রই গ্রেফতার করার প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।