সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
কুয়াশার কারণে সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রার ব্যবধান কমায় সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে শীতে জবুথবু প্রায় সারাদেশের মানুষ। এরইমধ্যে চার জেলায় বইতে শুরু করেছে শৈত্যপ্রবাহ। এটি আরও কয়েক জেলায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে আগামী সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি উত্তরাঞ্চলের তিন জেলায় মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। সেই শৈত্যপ্রবাহ তিন দিন স্থায়ী ছিল।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলি ও চুয়াডাঙ্গায়। এছাড়া সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৮ ও দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। বৃহ¯পতিবার দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াত ছিল নিকলিতে। শুক্রবার ঢাকার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার ১৯ অঞ্চলের তাপমাত্রা নেমে গেছে ১২ ডিগ্রির নিচে। অঞ্চলগুলোর মধ্যে আছে- পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৮, দিনাজপুরে ১০, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৫, রাজশাহীর বদলগাছিতে ১০ দশমিক ৭, যশোর, সীতাকু- ও মাদারীপুরে ১১, খেপুপাড়া, কুমারখালি ও সৈয়দপুরে ১১ দশমিক ৩, বগুড়া ১১ দশমিক ৪, বরিশালে ১১ দশমিক ৫, টাঙ্গাইলে ১১ দশমিক ৮, তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৯, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুরে ১১ দশমিক ২, কুমিল্লা ও গোপালগঞ্জে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। স্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘœ ঘটতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
শনি ও রোববার কুয়াশা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, শনিবার সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। রোববার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী পাঁচদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে বলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে বলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।