1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:২০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ : জড়িতদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মিসমা বেগমকে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের মদনপুর এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, গৃহবধূ মিসমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে নিহত মিসমার স্বামী রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকের জড়িত রয়েছে। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মিসমা হত্যার বিচারের দাবি জানান।
কর্মসূচির একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সড়কের দু’দিকে যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ চলাকালে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক নেতা হারুন অর রশীদ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মতিন, সংগঠক মহিম তালুকদার, স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন, নিহতের ভাই ফরহাদ মিয়া, পিতা মো. সমছু মিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ঘটনার ১১ মাস পূর্বে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা কান্দিগাঁও গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর গ্রামের সমছু মিয়ার মেয়ে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মিসমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দাম্পত্যজীবন সুন্দরভাবে চললেও সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে মিসমা’র ঝগড়া বাধে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অন্তঃসত্ত্বা মিসমা বেগম শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা চেষ্টা করলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মিসমা বেগম আত্মহত্যা করে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে স্বামী রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার দাবি করলেও ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করে সিলেট কোতোয়ালী থানায় জিডি করেন নিহতের ভাই ফরহাদ মিয়া। পরে এই ঘটনায় শান্তিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সংশ্লিষ্টরা আইনি সহযোগিতা না করলে আদালতের দ্বারস্ত হতে হয় মিসমার পরিবারকে। গত ৪ জানুয়ারি স্বামী রফিকুল ইসলাম ও শাশুড়ি নুরজাহানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন মিসমার ভাই ফরহাদ মিয়া।
এদিকে, মামলা দায়েরের ১০ দিন পরও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
নিহতের ভাই ফরহাদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার বোন গর্ভবতী ছিল। সে একজন শিক্ষিত মেয়ে। সে কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার দিন আমার বোনকে নির্যাতন করা হয়। সে ফোনে আমাকে জানিয়েছিল।
নিহত মিসমা বেগমের বাবা সমছু মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকে নানাভাবে আমার মেয়েকে নির্যাতন করছিল স্বামীর পরিবার। ঘটনার দিন মেয়ের জামাইয়ের পরিবার থেকে আমাকে জানানো হয় তাদের পরিবারে সমস্যা হচ্ছে, আমি যেন সেখানে যাই। আমি যাওয়ার আগেই জানানো হয় আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে নির্যাতনের অনেক দাগ ছিল। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় শান্তিগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আদালতে মামলা দায়ের করা হলেও এ বিষয়ে থানায় কোনো নথি পৌঁছায়নি। তদন্তের জন্য থানায় পাঠালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তাদির হোসেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com