1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

১৯টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোথাও মিলেনা কাক্সিক্ষত সেবা

  • আপডেট সময় সোমবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৪

শামস শামীম ::
শুধু শ্রীপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রই নয়, জেলার অবশিষ্ট ১৯টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবার অবস্থাও বেহাল। কোথাও কাক্সিক্ষত সেবা মিলছেনা। তবে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো ব্যতিক্রম। এই দুটি উপজেলায় স্বাভাবিক সেবার পাশাপাশি প্রসূতিরাও কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে জেলার ১৭টি সচল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯৩ জন সেবা নিয়েছেন। এগুলোতে ওষুধের জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ছিল ৩৪ লাখ টাকা। সেবাগ্রহিতারা এই টাকায় জনপ্রতি ১৫ টাকা ২২ পয়সার ওষুধ পেয়েছেন। প্রতিটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বছরে ওষুধের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা গেছে, এক দশক ধরে এসব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্যাকমো পদে নিয়োগ বন্ধ। গত আগস্ট মাসে সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধীনে বিশাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও এই পদে নিয়োগ চাওয়া হয়নি। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে মেডিকেল অফিসার, সাব এসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (স্যাকমো), ফার্মাসিস্ট, মিডওয়াইফ ও অফিস সহায়কসহ পাঁচ জনের পদ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, শুধু লোকবল সংকটই নয়, ওষুধ সংকটও রয়েছে। সরকারি বরাদ্দ থেকে ৭০ ভাগ ওষুধ সরকারের কাছ থেকে কিনতে হয় এবং বাকি ৩০ ভাগ ওষুধ টেন্ডারের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কিনে থাকেন। এর আগে সিভিল সার্জন কার্যালয় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওষুধ কিনতে পারতেন। ওষুধের মধ্যে আছে প্যারাসিটামল, সর্দি-কাশির ওষুধ, সিরাপ, এন্টিবায়োটিক ও স্যালাইন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর ও শাল্লা উপজেলায় কোনো উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নেই। শান্তিগঞ্জে দুটি, ছাতকে চারটি, জামালগঞ্জে একটি, দিরাইয়ে দুটি, জগন্নাথপুরে পাঁচটি, তাহিরপুরে একটি, ধর্মপাশায় একটি, বিশ্বম্ভরপুরে একটি এবং দোয়াবাজারে তিনটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে। শান্তিগঞ্জের দরগাপাশা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিজস্ব কোনো ভবন না থাকলেও স্থানীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা দেওয়া হচ্ছে। দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া জমিদার বাড়িতে তাদের নিজস্ব পুরনো ভবনে এটির অস্তিত্ব থাকলেও সরকারি কোনো স্থাপনা হয়নি এবং দীর্ঘদিন ধরে কোনো কার্যক্রম নেই। একই উপজেলার পেরুয়া জমিদার বাড়িতে পুরনো ভবন থেকে সরকার পাশেই নতুন ভবন করে দিলেও এখানেও গত তিন বছর ধরে কোনো সেবা কার্যক্রম নেই। দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জনবলের অভাবে গত দুই বছর ধরে বন্ধ। বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত এসব পুরনো উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্যক্রম তদারক করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। বর্তমানে ৫ জনের স্থলে প্রতিটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মাত্র এক থেকে দু’একজন কর্মরত আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই মেডিকেল অফিসার, সাব এসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (স্যাকমো) সহ সংশ্লিষ্টদের আবাসিক ব্যবস্থা আছে। কিন্তু একটিতেও পূর্ণাঙ্গ জনবল নেই। এক দশক ধরে এসব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্যাকমো পদে নিয়োগ বন্ধ। ঐতিহ্যবাহী এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর দিকে নজর দেয়নি কোনো সরকার। তাই অবহেলায় পড়ে আছে সরকারের পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলো। ওষুধ বলতে এসব প্রতিষ্ঠানে কেবল প্যারাসিটামল, সর্দি-কাশির ওষুধ, সিরাপ, এন্টিবায়োটিক ও স্যালাইন পাওয়া যায় যতসামান্য।
সরেজমিন তিনটি উপজেলার দুর্গম এলাকার তিনটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সর্দি, কাশি, জ্বর, আমাশয়, পাতলা পায়খানা, চর্মরোগসহ সাধারণ রোগের প্রাথমিক বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়। তবে গর্ভবতী নারী, প্রসূতি মা ও শিশুরা সেবা নিতে আসেন বেশি। যে কয়টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মিডওয়াইফ আছে, সেখানে গর্ভবতী নারীদের নিয়মিত উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। মিডওয়াইফ আছেন এমন কিছু কেন্দ্রে সাধারণ ডেলিভারিও হয়ে থাকে।
দোয়ারাবাজার উপজেলার দুটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২৪ হাজার ৬০২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। দোহালিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩ হাজার ১১৪ জন পুরুষ, ৫ হাজার ৭০৪ জন নারী, দশ বছরের নিচে ২ হাজার ৮৫৬ জন শিশু, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৯০জন পুরুষ, ৬ হাজার ৮৯৫ জন নারী এবং দশ বছরের নিচে আরো ৩ হাজার ১১৫ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছেন। এই দুই কেন্দ্রে কোন সাধারণ ডেলিভারি হয়নি। এই দুটি কেন্দ্রে কেবল একজন করে স্যাকমো সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার বাজিতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জনবলের অভাবে দুই বছর ধরে বন্ধ আছে।
জামালগঞ্জ উপজেলার সোনার বাংলা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গত বছরে ৮ হাজার ৯৬৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৮২৫ জন পুরুষ এবং ৬ হাজার ১৪২ জন নারী রয়েছেন। এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন ডেলিভারি হয়নি। এখানে একজন স্যাকমো ও একজন মিডওয়াইফ কর্মরত আছেন।
ছাতক উপজেলার চারটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গত বছর ২৯ হাজার ৪৩৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সৈদেরগাঁও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩ হাজার ২২৯ জন পুরুষ, ২ হাজার ১১৫ জন নারী, ১ হাজার ৭৫ জন দশ বছরের নিচের শিশু, মহব্বতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৭৫৪ জন পুরুষ, ২ হাজার ৬৩২ জন নারী, ৪৭৭জন শিশু, সিংচাপইড় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ৩ হাজার ১০৯ জন পুরুষ, ৪ হাজার ৭০৯ জন নারী, ১৫০৯ জন শিশু, কালারুকা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ২ হাজার ৭৯৬ জন পুরুষ, ৩ হাজার ৫৯৬ জন নারী এবং ১ হাজার ৯৯৮ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছেন। চারটি কেন্দ্রের একটিতেও মেডিকেল অফিসার নেই। মহব্বতপুরে স্যাকমো ও মিডওয়াইফ, কালারুকাতে কেউ না থাকায় একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স ও একজন আউট সোর্সিয়ের কর্মী, সিংচাপইরে কেবল স্যাকমো, মহব্বতপুরে স্যাকমো ও মিডওয়াইফ এবং সৈদেরগাঁওয়ে স্যাকমো ও মিডওয়াইফ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় গোবিন্দনগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এখানে ১০ হাজার ১৭৩ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ১৫ জন, নারী ৪ হাজার ৮৪১ জন এবং শিশু ২ হাজার ৩১৭ জন। এখানে একজন স্যাকমো ও একজন মিডওয়াইফ কর্মরত আছেন।
ধর্মপাশা উপজেলায় দুটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গত বছর ২৬ হাজার ৫০৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সেলবরষ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৭ হাজার ৭২৬ জন নারী, ৬ হাজার ৯৪৩ জন পুরুষ, সুখাইর রাজাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ৫ হাজার ৭২১ জন পুরুষ ও ৬ হাজার ১১৮জন নারী। সেলবরষ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার এবং সুখাইর রাজাপুরে একজন স্যাকমো দায়িত্ব পালন করছেন।
সুনামগঞ্জ সদর ও শাল্লা উপজেলায় কোনও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নেই। দিরাই উপজেলায় দুটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও লোকবলের অভাবে সেবা বন্ধ আছে। দিরাই উপজেলার পেরুয়া গ্রামে জমিদারবাড়িতে একটি এবং ভাটিপাড়া জমিদারবাড়িতে আরেকটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। ভাটিপাড়ায় কোনও স্থাপনা না থাকলেও পেরুয়ায় আধুনিক ভবন রয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার গোবিন্দনগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বারান্দার বড় টেবিলে এক নারীকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। বৃষ্টিবিঘিœত সকালেও ওই হাসপাতালে ছয়জন রোগী পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পরে দোতলার আবাসিক কক্ষ থেকে নেমে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রোগীর পালস মাপেন।
এলাকাবাসী জানান, এক যুগ আগেও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ছিল একটি দুর্গম জনপদ। সরাসরি জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ছিল না। এখন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হলেও ভারী যান চলাচল নেই উপজেলায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ থাকায় অন্যান্য উপজেলা থেকে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসলেও ওষুধের অপ্রতুলতার কারণে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খান সংশ্লিষ্টরা।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিরাই উপজেলার পেরুয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সেটি তালাবদ্ধ। ভবনটি আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেল, গত তিন বছর ধরে লোকবলের অভাবে এটি বন্ধ আছে। এটি খোলা থাকলে শুধু দিরাই উপজেলা নয়, পাশের শাল্লা উপজেলার বেশ কিছু দুর্গম গ্রামের লোকজনও এখানে চিকিৎসা নিতে পারত।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার লতারগাঁও গ্রামের রমিজা বেগম বলেন, আমাদের গোবিন্দনগর হাসপাতালে মোটামুটি সাধারণ সেবা পাই। বাড়ির পাশের এই হাসপাতালটি অনেক পুরনো। এখন সুন্দর ভবন আছে। তবে নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। একই গ্রামের বৃদ্ধ আবুল হোসেন বলেন, পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, চর্মরোগ, জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই আমরা এখানে ছুটে আসি। এসব রোগের জন্য বড়জোর চারটা করে ট্যাবলেট পাই। আর কোন ওষুধ পাইনা।
পেরুয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এলাকার বাসিন্দা কমরেড অমরচাঁন দাশ বলেন, জমিদারদের বাড়িতে ব্রিটিশ আমল থেকেই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছিল। এখন আধুনিক ভবন হলেও আমরা কোনো সেবা পাচ্ছি না। এর মধ্যে প্রায় তিন বছর ধরে দরোজাই খোলা হচ্ছে না। এত সুন্দর ভবন ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জনগণের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এটি প্রতিষ্ঠা করা হলেও সাধারণ সেবাও পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন ফারুকী বলেন, দেশে তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবার পুরনো প্রতিষ্ঠান এগুলো। স্বাধীনতার পর থেকে সরকার মোটামুটি আধুনিক মানের ভবন নির্মাণ করলেও লোকবল সংকটে কাক্সিক্ষত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাপ্ত ওষুধও বরাদ্দ দেওয়া হয় না। বছরে মাত্র ২ লাখ টাকা ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য দেওয়া হয়, যা অপ্রতুল। তবে চলতি অর্থ বছর থেকে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জের সাবেক সিভিল সার্জন ও বিএমএ-এর সুনামগঞ্জ সভাপতি ডা. আব্দুল হাকিম বলেন, আমাদের সুনামগঞ্জে যতগুলো সাবসেন্টার আছে, প্রায় অধিকাংশই জমিদার বাড়িতে স্থাপিত। দরগাপাশা ও ভাটিপাড়া জমিদার বাড়িতে নামেই আছে, ভবন নেই। অন্য যেগুলো আছে সেখানে আধুনিক ভবন রয়েছে। কিন্তু সেবা নেই। অথচ প্রতিটিতে একজন মেডিকেল অফিসারের পদ আছে। কখনোই এই দুর্গম এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলো জনবল পায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহমদ হোসেন বলেন, ভবন আছে, আছে আবাসিক ব্যবস্থাও। কিন্তু লোকবল নেই। আমরা সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলেও সেখানে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য সার্জন বা স্যাকমো পদে নিয়োগ নেই। তাই এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সহসাই লোকবল সংকটের সমাধান হচ্ছে না। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যতগুলো সচল আছে সেগুলোতে সেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা চলছে। সরকার এবার ওষুধের বরাদ্দ বাড়িয়েছে। আশা করি জরুরি পদগুলোতে পদায়ন দিয়ে সেবার মান বৃদ্ধি করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com