স্টাফ রিপোর্টার ::
‘প্রবাসীর কল্যাণ, মর্যাদা – আমাদের অঙ্গীকার, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও সমান অংশীদার’ – এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিদেশফেরতদের জন্য তথ্যসেবা ও চাকুরী মেলার স্টল উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল করীম। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫টি স্টল পরিদর্শন করেন তিনি।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করীম। সভার শুরুতে জাতীয় প্রবাসী দিবসের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বিষয়ে ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে প্রবাসী গমনেচ্ছুদের উদ্দেশ্যে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুনামগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুর রব।
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, জেলা ব্র্যাকের সমন্বয়ক একে আজাদ, ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের সহকারী পরিচালক কাজী নাজমুল ইসলাম, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের এমআরএসসি কো-অর্ডিনেটর মো. নজরুল ইসলাম, সেক্টর স্পেশালিস্ট ইকোনমিক আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান, সাইকোসোশ্যাল কাউন্সিলর শাওন রায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ এবং বিদেশ গমনেচ্ছুগণ।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল করীম বলেন, যারা প্রবাসে যাচ্ছেন, তারা অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিয়ে যাবেন। সৎ উপার্জন করে দেশে টাকা পাঠালে নিজের এবং দেশের উন্নয়ন হবে। কারিগরি প্রশিক্ষণে দক্ষতা অর্জন করে বিদেশ গেলে ভাল কাজের অভাব হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছুদের কারিগরি শিক্ষা অর্জন করে গেলে ভাল অবস্থানে থাকতে পারবেন এবং ভাল চাকুরি করে বেশি উপার্জন করতে পারবেন। তিনি বিদেশ গমনেচ্ছুদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারি সেবা পেতে একটু সময় লাগতে পারে। কিন্তু প্রতারিত হবেন না। তাই সকলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেবেন। তিনি বলেন, বিদেশ ফেরতদের নিয়ে কাজ করা যতটা জরুরি, তেমনি যারা বিদেশ যেতে চায় তারা যাতে নিরাপদে বিদেশে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করাটাও জরুরি । তিনি আরও বলেন, বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের সহযোগিতা করতে হবে, কারণ তারা বিদেশ গিয়ে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন। তিনি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের প্রত্যেকের অবস্থান থেকে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।