স্টাফ রিপোর্টার ::
কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নকল্পে জেলা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহ¯পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিজন কুমার সিংহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ।
মনিটরিং কমিটির সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।
সভায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী-২ সামসুদ্দোহা, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা পারভীন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী মান্নান, শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহমদ, ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমান, দোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেহের নিগার তনু।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ স¤পাদক বিজন সেন রায়, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নুরুর রব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল মোমেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর সম্পাদক পংকজ কান্তি দে, হাওর ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখনও বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। কোনো কোনো স্থানে অপ্রয়োজনীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। এই কারণে এবার সময়মত বাঁধের কাজ স¤পন্ন হওয়া নিয়ে আশংকা করা হচ্ছে।
একাধিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, স্থানীয়দের অন্যায় আবদার ও প্রভাবের কারণে অনেক পিআইসি কমিটি গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিগত সময়ে অনেকে পিআইসি কমিটিতে ছিলেন। এদের মধ্যে সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীও ছিলেন। এবার তাদের বাদ দেয়ায় জেলা ও উপজেলা থেকে ফোনেও সরাসরি প্রভাব খাটাতে চাচ্ছেন তারা। এই কারণে পিআইসি গঠন ও বাঁধের কাজ শুরু করতে ঝামেলা হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা পারভীন বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। কিন্তু কতিপয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা-কর্মী পিআইসিতে যুক্ত হতে নানাভাবে চেষ্টা করছে। কিন্তু বিন্দুমাত্র সুযোগ না দেয়ায় তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়েছে। আমি আইনের বিরুদ্ধে যেতে পারবো না বলে দিয়েছি তাদের। জেনেছি গত বছরও নাকি এসব লোক ঝামেলা করেছিল পিআইসি কমিটিতে থাকতে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার পাশাপাশি হাওরে বাঁধের কাজ চলমান রাখতে হবে। যেকোনো প্রভাব বিস্তারে ছাড় দেয়া হবে না। সঠিক সময়ের পূর্বে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করতে অবশ্যই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এবার কোথাও অপ্রয়োজনীয় বাঁধ দেয়া হবে না। যে বাঁধ অনুমোদন দেয়া হচ্ছে সেগুলো করা হবে। এই সময়ে যদি কোনো সমস্যা হয়, তবে আমাদের জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণও সহযোগিতা করবেন।