চট্টগ্রাম ও ফেনিতে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় ট্রেনের কয়েকটি বগিতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মা-শিশুসহ ৪ জনের পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিএনপির হরতাল-অবরোধ আন্দোলন চলার সময় এইসব ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দুর্বৃত্ত বলে অভিহিত করা হচ্ছে। কোনও কোনও গণমাধ্যমের সংবাদবিবরণের ভাবভঙ্গিতে যে-কারও মনে হতে পারে যে, গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে এইসব দুষ্কৃতির সঙ্গে কোনও রাজনীতিক দলকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট করতে অনিহা প্রকাশ করা হচ্ছে। অথবা কারও কারও মনে হতে পারে যে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বোধ করি এমন অস্থিরতাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনও কোনও বিদগ্ধজনের অভিমত অন্যরকম। তাঁরা মনে করেন, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘটিত সব ঘটনাবিপর্যয় যেমন স্বাভাবিক নয়, তেমনি স্বাভাবিক নয় আসন্ন নির্বাচনটি। সামগ্রিক বিশ^ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অর্থাৎ সা¤্রাজ্যবাদী আধিপত্যের কবলে দেশেকে জিম্মি করে দিয়ে ক্ষমতায়নের রাজনীতি বাস্তবায়নের দিকে দেশকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এবংবিধ ক্ষমতায়ন শেষ পর্যন্ত দেশের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে না। এখানে রাজনীতিক দলগুলোকে পরিস্থিতর চাপে দুর্বল করে দিয়ে একধরণের অসহায়ত্বের মুখে ফেলে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি দেশের ঘাড়ে অনিবার্যভাবে চাপিয়ে দেওয়া নির্বাচনী যুদ্ধ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছে, যে-নির্বাচনী যুদ্ধে সকল রাজনীতিক দলকে এক করে নিয়ে বাংলাদেশকে অবশ্যই জিততে হবে। সামগ্রিক বিবেচনায় এই নির্বাচনও একটি কৌশলেরই সুচতুর বাস্তবায়ন। কিন্তু আমাদের একমাত্র ভরসা ও শেষ আশ্রয়ের স্থল আপাতত শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব। জাতি তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। এই নির্বাচনে তাঁকে দেশের স্বার্থের পক্ষে ইতিবাচক বিজয় অর্জন অবশ্যই করতে হবে।