1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, মাঠ পর্যায়ের অফিস ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। পুলিশ সদর দফতরের অপারেশন্স শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিয়ান ওয়াজেদের সই করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে- নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অফিস সরঞ্জামাদি, নির্বাচন-সামগ্রী, ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, ৬৪টি জেলা নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিরাপত্তা ডিউটির তদারকি জোরদার করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে বিরোধীরা যেকোনও মূল্যে নির্বাচন প্রতিহত করতে নিয়মিত আন্দোলন করে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, অতীতের মতো এবারও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় বা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হামলার শিকার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সারা দেশের নির্বাচন অফিসগুলোতে হামলা-ভাঙচুর হতে পারে। এ জন্য আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশন্স) আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- যাতে কেউ দেশের কোথাও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচনকে প্রতিহত করতে না পারে।
পুলিশ সদর দফতর থেকে সব ইউনিট প্রধান, রেঞ্চ ডিআইজি ও পুলিশ সুপারদের কাছে পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে- রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি বা প্রার্থীদের নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা যথাযথ অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রচলিত নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট আইনের আলোকে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনা নির্বিঘœ করতে হবে। এছাড়া নির্বাচনি প্রচার অভিযানের সময় কোনও এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়োজিত ফোর্সের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সহায়ক শক্তি হিসেবে পর্যাপ্ত ব্যাকআপ ফোর্সের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রের অবস্থান চিহ্নিত করা, পূর্ববর্তী নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ফোর্স মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করার জন্য কোনও প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে বা অন্য কেউ কোনও সন্ত্রাসী কিংবা ভয়ভীতিমূলক কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ার প্রচেষ্টা চালালে – তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনি দ্রব্যাদি পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনি অপরাধ দমনের পাশাপাশি অপরাধ প্রতিরোধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা এবং সম্ভাব্য উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কর্মকা-, পোস্টার, দেয়াল লিখন ইত্যাদি স¤পর্কে আগেই তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ প্রবেশ বা নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ কোনও ব্যক্তি বা বস্তুর যাতায়াত, প্রবেশ বা চলাফেরা ইত্যাদি আইনানুগভাবে রোধ করতে হবে। নির্বাচনে যেকোনও ধরনের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্বাচনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বা হুমকিস্বরূপ সব ব্যক্তি বা বস্তুর প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সুবিধার্থে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে নির্বাচনে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার রোধকল্পে অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের নির্বাচনে অস্ত্রের ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা অবহিত করতে হবে। নির্বাচনি অপরাধ স¤পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কমিউনিটি পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও গ্রাম প্রতিরক্ষা কমিটির সহায়তা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ব্যক্তিগত ও সরকারি স¤পত্তি, বিশেষ করে অস্ত্র, গুলি ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। কারণ, নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা শুরু হলে সাধারণত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও তাদের ব্যবহৃত সরকারি স¤পত্তি ভাঙচুর করা হয়। এ জন্য সার্বিক আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com