আজ মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১-এ এই দিনে আমরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রসীমার অধিবাসী বাঙালিসহ বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি দখলদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লড়ে স্বাধীনতা লাভ করেছিলাম। সে-স্বাধীনতা ছিল প্রত্যক্ষ পাকিস্তানি ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে একটি বিশ্ব বিরল ঐতিহাসিক জয়। যে-জয়ের জন্য আমরা জাতিগতভাবে গর্বিত ও বিশ্বপরিসরে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু আজ সে-স্বাধীনতার পাঁচদশকাধিক কাল পেরিয়ে এসেও আমরা বিদেশি শক্তির চাপমুক্ত নিষ্কণ্টক ও নির্বিঘ্নে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারছি না, বিভিন্ন অপতৎপরতার মোকাবিলা করে অগ্রসর হতে হচ্ছে। চলতি পথে সতর্ক হয়ে পা ফেলতে হচ্ছে। তার বিপরীতে বিদেশি শক্তির প্রতিপত্তির দোসর হয়ে দেশের ভিতরে যুদ্ধ করছে সা¤্রাজ্যবাদের পঞ্চমবাহিনী রূপে আবির্ভূত সরকারবিরোধী রাজনীতিক দল ও বিশেষ করে একাত্তরে পরাজিত যুদ্ধাপরাধীরা। এই মুহূর্তে দেশের সমাজসাংস্থিতিক অবস্থা পরিসরটা এমন যে, এই যাকে বলে, প্রত্যক্ষ ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্ত হয়ে পরোক্ষ নয়া ঔপনিবেশিকতার খপ্পর থেকে মুক্তির যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত প্রাণপণে। মুক্তির জন্যে যুদ্ধ করে গেছেন জাতির পিতা স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং এখনও অক্লান্ত যুদ্ধ করে চলেছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা এবং শত বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে, দেশ আজ উন্নয়নের পতাকা ঊর্ধ্বে তোলে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পা রেখেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আসন্ন নির্বাচনের নৌকার জয় প্রত্যাশা করছি এবং আশা রাখছি এই জয় আমাদেরকে বিদেশি শক্তির চাপের মুখে অবনতির দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করবে। আজকে সতেরো কোটি মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত ‘জয় বাংলা’র জয়ধ্বনি বিশ্বপরিসরের আকাশে বাতাসে পল্লবিত-কল্লোলিত হোক। নৌকার কাণ্ডারি বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার জয় হোক। জয় বাংলা।