স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো শহিদুল ইসলাম বলেছেন, এবার ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে কোনরকম অনিয়ম এবং অপ্রয়োজনীয় বাঁধের কাজ করা হলে আমরা কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যে কর্মকর্তারা এর সাথে জড়িত থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শাস্তি প্রদান করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাঁধের কাজ শেষ করবো।
শুক্রবার ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনারথাল হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ উদ্বোধন শেষে একথাগুলো বলেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, এবার সুনামগঞ্জের ছোটবড় ৫২টি হাওরে ৭৫০টি প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁধের কাজ স¤পন্ন করা হবে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।
এদিকে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ স¤পাদক বিজন সেন রায় বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা। আমরা চাই বাঁধের যেন নিয়ম অনুযায়ী করা হয়। কাজে অবশ্যই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলন বাঁধের কাজে নজর রাখবে। এসব কাজে অনিময়-দুর্নীতি করলে প্রতিবাদ হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, বাঁধের কাজের জন্য ইতিমধ্যে ৯০ কোটি টাকা বাজেট পাওয়া গেছে। তবে আমরা এখন পর্যন্ত ৩৯১টি পিআইসি গঠন করেছি। যার মধ্য দিয়ে ৩৬৪ কিলোমিটার বাঁধের কাজ করা হবে। তবে আমাদের ৭৫০টির মতো প্রকল্প নেয়া হবে। এতে করে আমাদের ১২০ কোটি টাকার কাজ হবে।