গতকালের (১৪ ডিসেম্বর ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি শিরোনাম ছিল, “দোয়ারাবাজারে সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে ৬ গ্রামের মানুষ”। মাঝে মাঝেই এমন সংবাদ প্রকাশ হতে দেখা যায়, যেখানে সড়কের বেহাল দশার অনুপুঙ্খ বিবরণ প্রকাশিত হয়। কেবল সুনামগঞ্জে নয়, সড়কের এই বেহাল দশা বোধ করি সারা বাংলাদেশেই বিরাজ করছে এবং প্রকারান্তরে প্রমাণ করছে যে, সড়কগুলোতে পরিকল্পিতভাবে নি¤œমানের কাজ করা হয় যাতে অচিরেই আবার নতুন করে সে-সড়কে মেরাতম বা নির্মাণ কাজের সুযোগ পাওয়া যায়, যে-কাজ করার সুবাদে আরও বেশি করে আয় উপার্জন করা সম্ভব হয়, অসৎ উপায়ে টাকার পাহাড় বানানো যায়। অতীতে একসময় এই দেশে সড়কে বিদেশি সাহায্য থেকে প্রাপ্ত গম দিয়ে কাজ করা হতো, শর্ত ছিল টেকসই সড়ক তৈরি করা যাবে না, সড়ক তৈরি করতে হবে এক বছর যাতে টেকে এমন করে। তা হলেই আবার পরের বছর সাহায্যার্থে গম পাওয়া যাবে। নির্মিত বা মেরামত-করা সড়কগুলো মাস কয়েক যেতে না যেতেই কিংবা এক বর্ষা গিয়ে আর একটি বর্ষা আসার আগেই ভেঙে গিয়ে ছোট বড় গর্তখানাখন্দে ভরে যায় আবার মেরামত বা নির্মাণের উপযোগী হয়ে উঠে। তখন মনে হয়, সড়কগুলো ওয়ানটাইম সড়ক। এগুলো তৈরিই করা হয় একবার ব্যবহার করার মতো করে এবং এই ব্যবহারের সময়টা কয়েকমাস থেকে বছরখানেক মাত্র, এর বেশি নয়। ওয়ানটাইম জিনিস একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়, সড়ককে তো আর ফেলে দেওয়া যায় না, সেটাকে নতুন করে টাকা খরচ করে মেরামত কিংবা পুর্নির্মাণ করা হয়।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার সড়কের বেহাল দশা নিয়ে লেখা হয়, গণমাধ্যমে সংবাদ হয়, কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় যে, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সড়কগুলোর বেহাল দশা নিয়ে লেখা হয় না।