স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দলবদ্ধ হামলায় ৬ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে শহরের উকিলপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত ছয়জনের মধ্যে তিনজনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং একজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনজন হলেন জহির, সুলতান ও সাহিদ।
স্থানীয়রা জানান, উকিলপাড়ার পাইওনিয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় কয়েকজন চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বার রয়েছে। নিচতলায় আছে মামণি ফার্মেসি। এই ফার্মেসির কর্মচারী সুলতান আহমদকে (২০) নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। তাঁর বাড়ি শহরতলির মাইজবাড়ি এলাকায়।
সুলতান আহমদ জানান, তিনি দ্বিতীয় তলার একজন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে লেখা একটি ওষুধ সম্পর্কে জানতে সেখানে যান। ওই চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে তখন আরও কিছু রোগী ও তাদের স্বজনরা ছিলেন। তখন তারেক আহমদ নামের এক যুবক চেম্বারে আগে-পরে প্রবেশ নিয়ে অন্য একজনের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। এ সময় সুলতান আহমদ বিষয়টি জানতে চাইলে তারেক উত্তেজিত হয়ে তাকে চড় মারেন। এরপর ধাক্কাধাক্কি ও দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে তারেকের পক্ষে আরও কয়েক যুবক এসে তাকে ওষুধের দোকান থেকে নিয়ে মারধর করে। এ সময় তার বড় ভাই তুহিন আহমদকে (২৩) মারধর করা হয়। ফার্মেসির মালিক মুবিন আহমদ (৪০) ও তার ছোট ভাই জহির আহমদ (৩৫) এগিয়ে গেলে যুবকেরা তাদেরও বেধড়ক মারধর করে।
আহত মুবিন আহমদের বাবা সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, তাঁর ছেলেরা কর্মচারীকে রক্ষা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। মুবিনের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। তার ১২টি সেলাই লেগেছে।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরার চেষ্টা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেননি।