আশিস রহমান ::
দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে মাত্র তিন কিলোমিটার কাঁচা সড়কে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার ৬ গ্রামের মানুষ। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মহব্বতপুর বাজারের ব্রিজের পূর্বপার থেকে দক্ষিণ দিক অভিমুখী সড়কটি শিমুলতলা, তালতলা, কাওয়ারঘর, রাজনগর, ইসলামপুর, সুন্দরপইসহ আশপাশের ৬ গ্রামের কয়েক প্রায় ২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। এই সড়ক দিয়ে সমুজ আলী স্কুল এন্ড কলেজ, টিলাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসা-যাওয়া করে থাকে। মহব্বতপুর বাজার এবং উপজেলা সদরে যোগাযোগেরও একমাত্র মাধ্যম এই সড়কটি। সড়কের দুই পাশে স্থানীয়দের বসতি নির্মাণের ফলে সড়কটি সরু হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। বর্তমানে সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সড়কে প্রতিবছর অল্প কিছু জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ করা হলেও চলতি বছর একমুঠো মাটিও দেয়া হয়নি। মাটি ভরাট না করায় সরু সড়কে মোটরসাইকেল ব্যতীত অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের গর্তে হাঁটু পানি জমে থাকে। তখন হেঁটেও চলাফেরা করা কষ্টকর হয়।
কলেজ শিক্ষার্থী শাহ তামিম আহমদ তারেক জানান, বারো মাসই আমাদের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়। দেখার কেউ নেই। বর্ষাকালে হালকা বৃষ্টি হলে সড়কে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। তখন হেঁটেও চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
শিমুলতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেন, দেশ স্বাধীন হলো ৫০ বছর হয়ে গেলো কিন্তু আমাদের এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হলো না। এখনো ৩ কিলোমিটার কাচা সড়কে হেটে স্থানীয় বাজারে যেতে হয়। পাকা রাস্তা দেখে মনে হয়না মরতে পারবো।
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারন-অর-রশিদ বলেন, এই সড়কের কাজের জন্য সকল কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অফিসে পাঠানো হয়েছে। আশাবাদী খুব শীঘ্রই সড়কের কাজ শুরু হবে।
এলজিইডি’র দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল হামিদ বলেন, এই প্রথম এ সড়কের কথা জানতে পারলাম। সময় করে একবার সড়কটি পরিদর্শন করবো।