স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট রনজিত সরকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মুকিত চৌধুরী।
সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সায়েম পাঠানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, জেলা পরিষদ সদস্য সেলিনা আবেদীন, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস, জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আশরাফুজ্জামান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জহিরুল হক তালুকদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল খালেক, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শ্রীকান্ত তালুকদার, সাচনা বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন পাল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাছিরুল হক আফিন্দী, ফেনারবাঁক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, ভীমখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান শাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সৈকত ঘোষ চৌধুরী, জামালগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান মন্টু, বেহেলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত তালুকদার।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস ও মোকরম হোসেন, তরিকুল ইসলাম পলাশ, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য দীপক তালুকদারসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।
বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার অনুসারীদের উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আপনাকে আমরা বলেছি, আপনি নৌকা নিয়ে আসলে আ.লীগ নেতাকর্মীরা চতুর্থবারের মতো আপনাকে এমপি বানাতে কাজ করে যাবে। এমপি হলে আমরা আপনাকে মন্ত্রী বানানোর জন্য দাবি জানাবো। কিন্তু আপনি নৌকা নিয়ে আসতে পারেননি। কেউ যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে হুক্কা-তালা নিয়ে নির্বাচন করে আমরা তার সাথে নেই। আপনি আ.লীগে হাইব্রিড নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ডামি প্রার্থী হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু কাউকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার নির্দেশনা দেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আপনি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সৈয়দ রফিকুল হকের মতো অনেকে ফুটবল, আনারস, কেটলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছেন কিন্তু এমপি হতে পারেননি। আপনিও সে পথ ধরেছেন। বক্তারা আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য মানুষকে নৌকা উপহার দিয়েছেন। এই রনজিত একদিনে সৃষ্টি হয়নি। অনেক জেল-জুলুম অত্যাচার সহ্য করেছে। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে রনজিত সরকার যেদিন রাজপথে পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছে, অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করেছে সেদিন আপনি রতন ছিলেন না। জেল-জুলুম সহ্য করেও রনজিত মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় অবিচল থেকেছেন তিনি। যার ফলশ্রুতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। আমরা রনজিত সরকার নয়, শেখ হাসিনার নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। আমরা নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে ঘরে ফিরব। জয় বাংলা।