স্টাফ রিপোর্টার ::
‘ভারত বাংলাদেশকে পেঁয়াজ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে’ এমন গুজবে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। এতে করে বিপাকে পড়েন মানুষজন। তবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারসাজিতে লিপ্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে প্রশাসন। যার একটি উদাহরণ দেখাগেছে শান্তিগঞ্জের পাগলা বাজারে। এছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। একই সাথে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।
সরেজমিনে সোমবার শহরের বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলো ঘুরে দেখাযায়, রবিবারের তুলনায় কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা। তবে প্রশাসনের বেঁধে দেয়া দাম ১২০ টাকায় এখনো কোথাও পেঁয়াজ না পাওয়া গেলেও শান্তিগঞ্জের পাগলা বাজারে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ৪০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তার। তিনি সোমবার অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধের শাস্তিস্বরূপ মেসার্স দোলন স্টোরের ৪০০ কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে নিজে উপস্থিত থেকে বিক্রি করিয়ে দেন। ঠিক একই অভিযোগে নিশি স্টোরের ১০ কেজি পেঁয়াজও বিক্রি করা হয়। এছাড়া দাম বাড়ার পর অসাধু ব্যবসায়ীদের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া বাজারে ধাপে ধাপে চলছে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম। করা হয়েছে জরিমানাও।
পাগলাবাজারের বাসিন্দা জাহিদুল হাসান বলেন, আজকে প্রশাসনকে মন থেকে দোয়া দিতে ইচ্ছে করছে। আমাদের ব্যবসায়ীরাতো দাম বাড়ানোর সময় কোন কিছু চিন্তা করেন না। গরীব মেরে বড়লোক হতে চান তারা। তবে আজকে কমিশনার আপা যা করলেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ৪০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করলেন সেটি সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
এদিকে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিশেষ সভা করেছেন জেলা প্রশাসক মো. রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২০ টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি না করতে ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক মো. রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে। কেউ যদি অতিরিক্ত দামে পেয়াঁজ বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।