1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন না ঠেকাতে পেরে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি।
গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কোটালীপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে সেখানে থেকে ফিরে যান টুঙ্গিপাড়ায়।
বিএনপি কিভাবে নির্বাচন করবে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতা কে, তাদের কোনো নেতা নেই। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। এক সময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। উস্কানি আছে যে, নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের সিডিউল হয়ে গেছে, এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চ মাসের দিকে দেশের এমন অবস্থা করবে, দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা আছে। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আগুন দিতে যাবে, তাদেরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি আগুনসন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের প্রতিহত করে আগুনেই ফেলে দিতে হবে।
এ সভায় আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা ধরণের দিক-নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে মারল। মারতে মারতে যখন বেহুঁশ হয়ে গেছে তখন তাঁর মাথা থেকে হেলমেট ফেলে দিয়ে কোপালো। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে অ্যাম্বুলেন্স পোড়ানো হলো। সেখানে পুলিশদেরও আহত করা হলো। এমনকি সাধারণ রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করা হলো। এই হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র। তাদের ওপর জনগণের আস্থা বিশ্বাস থাকবে কীভাবে? এদের আন্দোলন মানেই জ্বালাও-পোড়াও। এদের শিক্ষাটা বোধয় ইসরায়েলের কাছ থেকে নেওয়া। ইসরায়েলেরা হাসপাতালে বোম্বিং করে নারী শিশু রোগীদের আহত করেছে। সেখানেও কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের ওপর আক্রমণ হয়েছে। ছোট ছোট শিশুসহ যেভাবে মানুষ হত্যা করছে। বিএনপি-জামায়াত বোধহয় ইসরায়েলের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার ছেলে মুচলেকা দিয়ে চলে গেল লন্ডন। তখন বলল, আর জীবনে রাজনীতি করব না। এখন ওখানে বসে হুকুম দিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করাচ্ছে। জিয়াউর রহমান যেমন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেনা বাহিনীর অফিসার, সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, ঠিক একইভাবে জিয়ার বউ ক্ষমতায় এসে আমাদের আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের হত্যা করে। আর তার ছেলেও এখন একই কাজ করছে। জিয়া পরিবার পুরোটাই একটি খুনি পরিবার। তারা মানুষ খুন আর দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই চায় না। নিজেরা ক্ষমতায় থেকে সমানে অর্থ বানিয়েছে, স¤পদের পাহাড় গড়েছে। এরা মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। এটাই তাদের চরিত্র।
নিজের শাসনামলের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা দেশের অনেক উন্নয়ন করেছিলাম। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আমরা দেশটি যেখানে রেখে গিয়েছিলাম সেখান থেকে আবার পিছিয়ে পড়েছিল। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা কমে গিয়েছিল, বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গিয়েছিল। একে একে সবকিছু আবার পেছন দিকে চলে গিয়েছিল। আমাদের ছিল ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আর সে আন্দোলনে আমরা সফল হয়েছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির পিতা শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তখন একটি টাকাও রিজার্ভ মানি ছিল না। কোনো খাবার ছিল না। তখন কোনো ফসল হয়নি। রাস্তা ঘাট কিছুই ছিল না। যা ছিল তাও ধ্বংসস্তূপ। ওই অবস্থায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব যখন দেশে ফিরে আসলেন তখন তিনি এই ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে দায়িত্বভার নিয়েছিলেন।
ওই সময় একজন বিদেশি সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, দেশেতো কিছুই নাই, কোনো রিসোর্স নেই, আপনি কীভাবে এ দেশ গড়ে তুলবেন? তখন জাতির পিতা বলেছিলেন, আমার মাটি আছে, দেশের মানুষ আছে। আমি মাটি ও মানুষ দিয়ে এ দেশ গড়ে তুলব।
নিজের জীবনের ওপর হামলার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারবার আমি মৃত্যুকে সামনে দেখেছি। এই কোটালীপাড়াই বিশাল বিশাল বোম মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। একজন চায়ের দোকানদার খুঁজে বের করল সেই বোমা। একটি ছিল ৭৬ কেজি আরেকটি ছিল ৮৬ কেজি। এই দুটি বোমা মাটির নিচে পোঁতা ছিল। সেখান থেকে আমি উদ্ধার পেলাম। আর তাছাড়া যেদিন থেকে এই বাংলাদেশে এসেছি সেদিন থেকেই সভা, সমাবেশে আক্রমণ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, সরাসরি গুলি প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এই অবস্থায় আল্লাহ আমাকে বারবার বাঁচিয়ে এনেছেন। এর মধ্য দিয়ে ৯৬ সালে সরকার গঠন করি। ২০০৯ সাল থেকে একটানা ক্ষমতায় আছি। অন্তত এটুকু বলতে পারি বাংলাদেশটাতো বদলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে। এখন আর দেশের মানুষের খাদ্যের হাহাকার নেই। খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পেরেছি। শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছি। ঠিক যেমনটি জাতির পিতা চেয়েছিলেন। একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে আমরা এমনটা পেরেছি। আমরা একটানা ক্ষমতায় না থাকলে দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হতো না।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মেদ, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ আয়নাল হোসেন শেখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com