স্টাফ রিপোর্টার ::
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য, জননেতা কমরেড বরুণ রায়ের চতুর্দশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু। এতে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, জেলা উদীচীর সভাপতি ও নারীনেত্রী শীলা রায়, কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদের সাধারণ স¤পাদক রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, জেলা খেলাঘরের সভাপতি বিজন সেন রায়, নারীনেত্রী গৌরী ভট্টাচার্য্য।
চ্যানেল ডিবিসি’র জেলা প্রতিনিধি সাইদুর রহমান আসাদের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি কবি ও লেখক সুখেন্দু সেন, কবি ও লেখক কুমার সৌরভ, স্বপন কুমার দাস, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ স¤পাদক অ্যাড. খলিল রহমান, কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, কমরেড বরুণ রায় ছিলেন তৃণমূল মানুষের নেতা। তিনি ছিলেন সুখি ও দুখি মানুষের বটবৃক্ষ। বিভিন্ন দুর্যোগে ছায়া দিতেন তিনি। কমরেড বরুণ রায় সবসময় বলতেন আদর্শের কথা। মানুষের কল্যাণের কথা বলতেন। তিনি সারাজীবন উৎসর্গ করে গেছেন মানুষের সেবায়।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সময়ে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদের অভাব উপলব্ধি করছি। স্বাধীনতা যুদ্ধে বরুণ রায় একজন সঠিক সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি দরিদ্র মানুষের মতো জীবনযাপন করে গেছেন। আজ বিভিন্ন সময়ে ত্যাগী, সৎ ও মহতী কাজের উদাহরণ স্বরূপ আমরা কমরেড বরুণ রায়ের নাম ব্যবহার করে থাকি। আজ কমরেড বরুণ রায়ের মতো দ্বিতীয় কোনো নেতা খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন।
বক্তারা আরও বলেন, আজ গণমাধ্যমের অনেকেই বরুণ রায়ের নাম করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। কিন্তু তার আদর্শ পালন করেননি। বরং তাঁর নাম ব্যবহার করে টাকার পাহাড় গড়ে তোলায় আমরা মনে করি বরুণ রায়ের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। বরুণ রায়ের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে সকলের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
স্মরণসভার আগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কমরেড বরুণ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে
কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদ ও জেলা খেলাঘর। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদের সাধারণ স¤পাদক রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, জেলা খেলাঘরের সভাপতি বিজন সেন রায়, বরুণ রায় স্মৃতি সংসদের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সমাজসেবক মানব চৌধুরী, চন্দন রায়, জেলা খেলাঘরের সাংগঠনিক স¤পাদক আলী হায়দার, সদস্য আনোয়ারুল হক, চ্যানেল ডিবিসি’র জেলা প্রতিনিধি সাইদুর রহমান আসাদ প্রমুখ।