1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

তিন শুল্ক স্টেশনে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ ::
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় তিন শুল্ক স্টেশন বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী (বীরেন্দ্রনগর) দিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস পর ফের শুরু হয়েছে কয়লা আমদানি। এতোদিন আমদানি বন্ধ থাকায় তিন শুল্ক স্টেশনের আমদানিকারক, শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল হতাশা। ৬ মাস পর আমদানি শুরু হওয়ায় আমদানিকারক ও শ্রমিকদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
গত বুধবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলী (বীরেন্দ্রনগর) তিনটি শুল্ক স্টেশনে কয়লা আমদানি শুরু হওয়ায় আমদানিকারক ও শ্রমিকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
আমদানিকারক কাজি মিজানুর রহমান বলেন, গত ৬ মাস আমদানি বন্ধ থাকায় অনেক টাকা ভারতে আটকা পড়েছিল। আমদানিকারকরা পড়েছিলেন হতাশার মাঝে। মঙ্গলবার থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় আমদানিকারক ও শ্রমিকদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণ চাঞ্চল্য।
আমদানিকারক ও জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ মুজিবুর রহমান তালুকদার বলেন, গত ৬ মাস আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তিন শুল্ক স্টেশনের আমদানিকারকদের গুনতে হয়েছে মোটা অংকের লোকসান। অপরদিকে শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল হতাশা আর অভাব অনটন। এখন আমদানি শুরু হওয়ায় আমদানিকারক ও শ্রমিকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
কয়লা আনলোড শ্রমিক শফিক মিয়া বলেন, গত ৬ মাস আমদানি বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করেছি। আমদানি শুরু হওয়ায় দুবেলা ডালভাত খেতে পারব নিশ্চিন্তে।
শ্রমিক শফিক মিয়া বলেন, গত ৬ মাস কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করেছি। এখন আমদানি শুরু হওয়ায় আমাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জানা যায়, ভারতের মেঘালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন ডিমাহাসাও জেলা ছাত্র ইউনিয়নের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল মেঘালয় সরকারকে কয়লা খনন ও পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেন। একই বছরের ৬ মে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় মুখ্যসচিব এ ব্যাপারে প্রতিটি জেলায় নির্দেশ জারি করেন। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয় মেঘালয়ের জেলা প্রশাসকদের। এ কারণে ২০১৪ সালের ১৩ মে থেকে মেঘালয়ের সীমান্ত জেলাগুলোয় ১৪৪ ধারা জারি করে কয়লা পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শুল্ক বন্দর তাহিরপুরের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী (বীরেন্দ্রনগর) শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ভারতীয় রপ্তানিকারকরা আইনি লড়াই করে প্রথমে উত্তোলিত কয়লার রাজস্ব জমা দিয়ে ২ মাস রপ্তানির সুযোগ পান। এ সময়ের মধ্যে কেবল উত্তোলিত কয়লা রপ্তানি করেছেন মেঘালয়ের রপ্তানিকারকরা। কিন্তু মাইনিং করতে পারেননি। এরপর থেকে গত প্রায় ছয় বছর প্রতি বছরে এক দুই মাস কয়লা আমদানি হয়েছে। বছরের বেশির ভাগ সময়ই আমদানি বন্ধ থাকায় আমদানিকারক এবং শ্রমিকরা পড়েন বেকায়দায়।
আমদানিকারক সমিতির সচিব রাজেশ তালুকদার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মেঘালয় থেকে বড়ছড়া ও চারাগাঁও এই দুই শুল্ক বন্দর দিয়ে ১২৭০ টন কয়লা আমদানি হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দুই শুল্ক বন্দরে কয়লা আমদানি শুরু হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে আমদানিকারক, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে।
তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার জানিয়েছেন, আমদানি শুরু হওয়ায় সবাই আনন্দিত। কয়লা আমদানি পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com