‘ছাত্রলীগের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ : ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রয়’ এই মর্মে একটি সংবাদ পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছে, “কৃষকের কাছ থেকে কিনে ন্যায্যমূল্যে শীতকালীন সবজি বিক্রি করেছে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। শুক্রবার ভোরে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে ও অসাধু কিছু ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মূল্যে সবজি বিক্রির প্রতিবাদে এই ব্যতিক্রম উদ্যোগে নেন সুনামগঞ্জ জেলা
ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিখন আহমেদ।’’
আমরা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রসংশা করি এবং আশা করি এই মহতি উদ্যোগটি তাঁরা অব্যাহত রাখবেন এবং প্রতিদিন পালাক্রমে চালিয়ে যাবেন। আর ছাত্রলীগকে অনুসরণ করে যদি অন্যান্য রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা এই কাজে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করেন তবে আরও ভালো হয়। কৃষক যে-সব সবজি পাইকারদের (আড়তদারদের) কাছে বিক্রি করেন সেগুলো আড়তদারদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে এসেই দামে দ্বিগুণ তিনগুণ হয়ে পড়ে। এই প্রবণতা রোধ করা ও সেটা কার্যকর করার কোনও না কোনও উপায় বের করা দরকার। ভালো হয় যদি পাইকারি দামের উপর নির্ভর করে খুচরা দাম নির্ণয় করা হয়, যে-দামে খুচরা বিক্রেতাদের একটি নির্দিষ্ট হারে লাভের সুযোগ থাকবে।