স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুর উপজেলার চাঁনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করেছে ম্যানেজিং কমিটি। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ২টায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সময় নির্ধারণ করা হলেও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন চাঁনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি জামাল উদ্দিন ও সহকারী শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনের সহযোগিতায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ৮ জন আবেদনকারীর মধ্যে চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা নাসির আলীর ছেলে রাকাব উদ্দিনের কাছ থেকে গোপনে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা উৎকোচ নিয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা পূর্বেই তাকে সিলেক্ট করে রেখেছেন। পরীক্ষাটি শুধু লোকদেখানো হবে। এই বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টির পাশাপাশি আবেদনকারী, তাদের অভিভাবক, এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তাই পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার স্বার্থে এই নিয়োগে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ পরীক্ষা বাতিলের দাবি তুলেন এলাকাবাসী।
এরই প্রেক্ষিতে গত রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাহারাম গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুর রহিম। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেয়া হয়।
অভিযোগকারী মো. আব্দুর রহিম জানান, এলাকাবাসীর দাবি প্রেক্ষিতে ও চাঁনপুর স্কুলের নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য আবেদন করেছিলাম। মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জেনেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে চেষ্টা করেও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নাসির উদ্দীনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া জানান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এলাকার লোকজন আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছিলাম। পরে শুনেছি নিয়োগ পরীক্ষা আর হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার পরীক্ষার তারিখ থাকলেও আমি ওই স্কুলে যাইনি। কমিটিকে বলেছিলাম লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য। পরে কমিটিই স্থগিত করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা জানান, এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।