1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন ডাহা মিথ্যাচার’

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩

বিশেষ প্রতিবেদক ::
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর বিবৃতিকে ডাহা মিথ্যাচার বলে উল্লেখ করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট লবিস্ট নিয়োগ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়ে এসব বিবৃতি দেওয়াচ্ছে। এসব বিবৃতির বিরুদ্ধে সরকারের শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।
রবিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর রবিবারের বিবৃতিতে এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার দাবি করেছেন যে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের পর থেকে দলটির অন্তত ১০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে জুলিয়া আরও বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধী নেতা এবং সমর্থকদের টার্গেট করেছে সরকার। সরকার কূটনৈতিক অংশীদারদেরকে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও একই সাথে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক বিরোধীদের দিয়ে কারাগার ভরাচ্ছে।
এইচআরডব্লিউ-এর এই বিবৃতিকে এক পেশে এবং পক্ষপাতিত্বমূলক বলে দাবি করছেন বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, বিবৃতিটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি। বরং সরকারের কর্মকা-কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং নির্বাচন কমিশন ও আগামী নির্বাচনকে সমালোচনার মুখে ফেলতেই এই অপতৎপরতা ও মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বানচাল করা। তারা বারবার জু জুর ভয় দেখাচ্ছে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, এগুলো হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের কাজ। তারা লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের এবং সরকারের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক অপপ্রচার চালাচ্ছে এটা তারই অংশ। তিনি বলেন, এইচআরডব্লিউ রীতিমত মিথ্যাচার করেছে। বিবৃততিতে তারা যা বলছে তার সবই বানানো গল্প, মিথ্যচার, বানোয়াট। ২৮ অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত দেশে কি ঘটেছে বা ঘটছে সেটা দেশের মানুষ তথা সারাবিশ্বের মানুষ দেখছে। হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচি পালনের নামে মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করছে বিএনপি-জামায়াত। প্রতিদিন যাত্রীবাহী যানবাহনে আগুন দিচ্ছে। দেশের স¤পদ নষ্ট করছে। এগুলো হচ্ছে মানবাধিকোরের চরম লঙ্ঘন।
এইচআরডব্লিউ’র কাছে প্রমাণ রয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করেছেন জুলিয়া। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিচারপতি মানিক বলেন, দেশে কি ঘটছে তার সব কিছুরই সিসি ফুটেজ রয়েছে। কারা অগ্নিসংযোগ করছে, কারা মানুষকে জিম্মি করেছে, কারা জানমালের ক্ষতি করছে, বোমা মারছে তার সবই সিসি ফুটেজে পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, এইচআরডব্লিউ সব সময় বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে আসছে। এজন্য বিএনপি-জামায়াত মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করে লবিস্টও নিয়োগ করেছে। লবিস্টরাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এইচআরডব্লিসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাকে দিয়ে বিবৃতি দেওয়াচ্ছে।
এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সরকারের কি করা উচিত জানতে চাইলে বিচারপতি মানিক বলেন, যারা এসব মিথ্যাচার করছে, বিবৃতি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে মামলা করতে হবে। এসব অপপ্রচার, মিথ্যাচার যেন প্রকাশ না হয় সেজন্য বিটিআরসিকে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন এই সাবেক বিচারপতি।
এইচআরডব্লিউর বিবৃতি স¤পর্কে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেন, এসব মানবাধিকার সংস্থাগুলো মূলত বড় দেশের প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠিত করে। তারা নির্মোহভাবে করে না এটা নিশ্চিত। তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করে। বড় দেশের বিরুদ্ধে কখনও কিছু বলবে না, কারণ তারা প্রভুদের টাকায় চলে।
তিনি বলেন, তাদের এই বিবৃতির অর্থ হলো- আমি অপরাধ করবো, সাধারণ মানুষকে মারবো, কিন্তু আমার বিচার করা যাবে না। সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রের সব জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা। তারা কোনো একটা এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে। রাজনীতির নাম করে যদি এখন নিরাপত্তা নষ্ট হয় তাহলে আইন কি বসে থাকবে, কি থাকবে না? এসব জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে না। তারা একটা পক্ষের হয়ে কাজ করে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত নিরীহ মানুষকে গুলি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, এরা বড় শক্তির প্রভুত্ব স্থাপনে কাজ করে। সেখানে তারা হিউম্যান রাইটসকে একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। তারা যখন হিউম্যান রাইটস ভায়োলেট করে তখন এই সংগঠনগুলো কোনো কথা বলছে না। এর কারণ হচ্ছে বিশাল বরাদ্দ। তাদের অর্থ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় এসব হিউম্যান রাইটস চলে। তারা সেই পৃষ্ঠপোষকতা মুক্ত হতে চান না। সেজন্য এই সংগঠনগুলো পক্ষপাতদুষ্ট।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতে হিউম্যান রাইটস যখন এগুলো করেছে তখন তাদেরকে বের করে দিয়েছে। বলেছে, অফিস থাকবে না। বাংলাদেশের এই সক্ষমতা অর্থাৎ কোনো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বের করে দিলে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মতামত ছড়াতে থাকবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com