স্টাফ রিপোর্টার ::
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন রবিবার সুনামগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে সকাল থেকেই যানবাহনের চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সেই চাপ। হরতালকে উপক্ষো করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিরবার সকালে নবীনগর, ষোলঘর, কাজীর পয়েন্ট, উকিলপাড়া, হাছননগর, নতুনপাড়া, কালীবাড়ি, মধ্যবাজার, পশ্চিম বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি গণপরিবহণও চলছে সমানতালে। সকাল ১০টার ষোলঘর, কাজীর পয়েন্ট, আলফাত স্কয়ার এলাকায় যানজট দেখা যায়। দোকানপাট, অফিস-আদালত, ব্যাংকে কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিকী পরীক্ষাও হয়েছে। অপরদিকে, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সতর্ক অবস্থানের পাশাপাশি টহলও ছিল।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা গীতশ্রী রায় বলেন, জনজীবনে হরতালের কোনো প্রভাব নেই। তবে নাশকতার আশঙ্কায় আতঙ্ক কাজ করছিল।
ষোলঘর এলাকার বাসিন্দা রফিক আহমদ বলেন, ষোলঘর থেকে ট্রাফিক পয়েন্ট আসতে দুই বার যানজটে পড়েছি। জনজীবন স্বাভাবিক, জনজীবনে হরতালের কোনো প্রভাব নেই। তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধে জনগণের ক্ষতি। আমরা হরতাল-অবরোধ চাই না।
সরকারি জুবিলী স্কুলের এক ছাত্রের অভিভাবক লতিফ মিয়া বলেন, সব বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। কার স্বার্থে হরতাল-অবরোধ দেয়া হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। এসব হরতাল-অবরোধ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। শহরে হরতালের কোনো প্রভাব নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যানবাহন চললেও সমস্যা হচ্ছে আতঙ্ক। এই যে, কখন কোথায় চোরাগুপ্তা হামলা হয় সেটা তো কেউ বলতে পারে না। তাই একটা বড় ঝুঁকি নিয়েই ঘর থেকে বের হতে হয়।
ব্যবসায়ী আহমদ নূর বলেন, হরতাল-অবরোধে জনগণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। এছাড়া নাশকতার ভয় তো রয়েছেই। আমরা এমন কর্মসূচি চাই না।