1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

নাশকতা চালিয়ে নেতারা আত্মগোপনে : কর্মীরা হতাশ

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি ::
হরতাল-অবরোধ ডেকে মাঠে নেই সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতারা। গাড়ি ভাংচুর ও জনমনে আতঙ্ক তৈরি ও নাশকতার মামলায় এলাকা ছেড়ে তারা প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। ফলে স্থানীয়ভাবে হরতাল-অবরোধে তেমন প্রভাব পড়ছেনা। তবে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল না করায় জরুরি কাজে দূরদূরান্তে যেতে পারছেননা মানুষজন। পাশাপাশি দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিপাকে আছেন নি¤œআয়ের মানুষজনও। অন্যদিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা নির্বাচনমুখী থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনার কারণে তারা নীরব আছেন।
বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরতাল-অবরোধ নিয়ে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কর্মীদের কোন সম্পর্ক নেই। নেতারা কর্মসূচি নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কোনও কথাও বলেন না। তারা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে মাঝে-মধ্যে ঝটিকা মিছিল এবং হামলা দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে উধাও হয়ে যান। সম্প্রতি দিরাই মদনপুর পয়েন্টে জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। তবে মামলার আগ থেকেই নেতারা মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে গেছেন। কর্মীরা তাদেরকে না পেয়ে হতাশায় আছেন।
জানা গেছে, বিএনপির প্রথম অবরোধের দিন জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওকত ও বিএনপি নেতা রাখাব উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন পিকেটিং করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হোন। তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ছিল। কিন্তু পুলিশ বাধা দিয়ে প- করেছিল এবং তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছিল। এতে গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের প্রতি তৃণমূল বিএনপির দরদ তৈরি হয়। অপরদিকে মদনপুরে জেলার শীর্ষ নেতারা লাঠি হাতে আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার ভিডিও নিজেরাই সাংবাদিক নিয়ে ভাইরাল করায় নেতাদের প্রতি তৃণমূল কর্মী ও সাধারণ মানুষের খারাপ ধারণা তৈরি হয়েছে। এভাবে তাদের কাছে দেশের নেতৃত্ব গেলে দেশ ও জনগণ নিরাপদ থাকবেনা বলে মনে করেন তৃণমূল বিএনপির উদারপন্থী সাধারণ নেতাকর্মীরা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, আমাদের উচিত ছিল মাঠে থেকে, হরতাল অবরোধ না দিয়ে নির্বাচনের মাঠে থাকা। সজাগ ও সচেতনভাবে মাঠে থাকলে আওয়ামী লীগ দুঃশাসনের জবাব নির্বাচনী মাঠেই পেতাম। এজন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের নির্বাচনমুখি হওয়া উচিত ছিল। এখন মাঠ খালি। খালি মাঠে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা নীরব জনগণকেও ভোটের মাঠে নিয়ে আসার প্রস্তুতি শেষ করেছে। যা আমাদের জন্য চিন্তার কারণ।
জেলা বিএনপির নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, বিদেশ থেকে আমাদের নেতার নির্দেশনায় কর্মসূচি চালিত হয়। অথচ এই মুহূর্তে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে কোনও কথা নেই। অথচ আমরা ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি করি। আমরা বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় শোক, সংসদে নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে মানুষের সমর্থন আদায় করে নিয়েছে। দ্রুত এই জায়গায় না আসলে আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com