মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
মধ্যনগর উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদটি ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে শূন্য ছিল। এতে করে এখানকার মধ্যনগর সদর, চামরদানী, বংশীকুন্ডা উত্তর ও বংশীকুন্ডা দক্ষিণ এই চারটি ইউনিয়নের মানুষজনকে দাপ্তরিকসহ বিভিন্ন কাজে পার্শ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলা সদরে আসা যাওয়া করতে গিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। গত সোমবার মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শূন্য পদে অতীশ দর্শী চাকমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে – এমন খবরে উপজেলাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
মধ্যনগর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম গত বছরের ২৪ জুলাই থেকে শুরু হয়। এই উপজেলার প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান চলতি বছরের ৩০মে অন্যত্র বদলি হলে ওই পদটি শূন্য হয়। এরপর থেকে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ধর্মপাশা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হিসেবে এই উপজেলার শূন্য পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের সাউদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হজরত আলী বলেন, আমাদের এই উপজেলাটি হাওরবেষ্টিত। এখানে ইউএনওসহ উপজেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রয়োজনীয় জনবল ও ভবন নেই। এতে করে এখানকার মানুষজনকে দীর্ঘদিন ধরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুনেছি, এই উপজেলার নতুন ইউএনও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেছেন। নতুন এ উপজেলায় ইউএনও পদে যোগদান করায় এখানকার মানুষজনদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, মধ্যনগরের ইউএনও’র শূন্য পদে অতীশ দর্শী চাকমা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে যোগদান করেছেন। এখন তিনি প্রশিক্ষণে আছেন।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, মধ্যনগর উপজেলার ইউএনও শূন্য পদে অতীশ দর্শী চাকমা যোগদান করেছেন। তিনি সময়মতো কর্মস্থলে চলে যাবেন।