1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

পুলিশ হত্যার পর হাইকমান্ডে ছবি পাঠান ছাত্রদল নেতা

  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩

 

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে বিএনপি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। হামলায় নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান। ঘটনার পর পুলিশ হত্যার ছবি অ্যাপসের মাধ্যমে দলের হাইকমান্ডের কাছে পাঠান তিনি। সোমবার (৬ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর মহাখালী থেকে আমান উল্লাহ আমানকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
গ্রেপ্তার আমানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর পুলিশ হত্যার ছবি অ্যাপসের মাধ্যমে হাইকমান্ডের কাছে পাঠান আমান। এমনকি ফেসবুকে এই ছবি পোস্টও করেছেন তিনি। সেখানে তার অনুসারীরা লিখেছেন, ‘এই দলের কামান, আমান উল্লাহ আমান’।
গ্রেপ্তার আমানকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, রিমান্ডে এনে তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার সঙ্গে আরও যারা সে সময় ছিলেন, তাদের নাম-পরিচয় আমরা পেয়েছি। তাদের গ্রেপ্তারেও আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
ঘটনার দিন আক্রমণের শিকার হয়েও বড় ক্ষয়-ক্ষতি এড়ানোর জন্য পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল নিজের অস্ত্রটি ব্যবহার করেননি বলেও জানান সিটিটিসির এই কর্মকর্তা।
আমিরুলকে হত্যার পর ছবি কার কাছে অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমরা তদন্তের স্বার্থে সুনির্দিষ্টভাবে বলব না। পরবর্তী অপারেশনের স্বার্থে বলছি না। সে শুধু নির্দেশনার বাস্তবায়ন বা নেতৃত্ব দেননি, নিজেও হেলমেট পরে লাঠি হাতে হামলায় অংশ নেয়।
সিটিটিসি জানায়, বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে আমান উল্লাহ আমান পুলিশ সদস্য আমিরুল হক পারভেজকে হত্যা করে। কেন্দ্রীয় নেতাদের চাওয়া ছিল, প্রয়োজনে এক বা একাধিক পুলিশ সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা, যাতে করে একটি নতুন ইস্যুর সৃষ্টি হয়। এর ভিত্তিতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজকে হত্যা করা হয়।
সিটিটিসির কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনার দিন আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ সদস্যরা টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও অস্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থেকে সর্বোচ্চ সহনশীলতার পরিচয় দেয়। আর হামলাকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য কনস্টেবল পারভেজের নিথর দেহের ওপরে বর্বরভাবে আঘাত করতে থাকে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com