স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজারে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাসেল আহমেদ ও ইয়াছিন আহমেদ নামের দুই ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়েছে বখাটেরা। ওই দুই শিক্ষার্থী উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চামতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণিতে পড়ে। এ ঘটনায় রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে চামতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় মামুন মিয়া, জীবন মিয়া ও জুবায়ের আহমেদসহ বেশকিছু বখাটে দীর্ঘদিন ধরে চামতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচারণ, অকারণে মুঠোফোনে ছবি তোলা, পথরোধ করা, বাড়িতে যাওয়ার পথে বাধাসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বখাটেদের এমন আচরণের প্রতিবাদ করে মাদ্রাসার ছাত্র রাসেল আহমেদ, ইয়াছিন আহমেদসহ বেশ কয়েকজন। এর জের ধরে গত বৃহ¯পতিবার (২ নভেম্বর) মাদ্রাসা ছুটির পরে বাড়িতে যাওয়ার পথে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার-চকবাজার রাস্তার জামাল পয়েন্টে রাসেল আহমেদ ও ইয়াছিন আহমেদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় বখাটে মামুন মিয়া, জীবন মিয়া ও জুবায়ের আহমেদ। দুই ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়। আহতদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের মাধ্যমে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহসান হাবিব বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যদি বখাটেরা মারধর করার সাহস পায় তাহলে আমাদের সন্তানরা মাদ্রাসায় যাবে কীভাবে? আমি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
চামতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হক বলেন, বখাটেরা ক্লাস শুরু হওয়ার একঘণ্টা আগে মাদ্রাসার মাঠের পাশে, পুকুর ঘাট, গোলচত্বর ও দোকানপাটসহ আশপাশে ঘোরাফেরা এবং মাদ্রাসা ছাত্রীদের ইভটিজিং করে। বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের আমরা বেশ কয়েকবার জানিয়েছি, কিন্তু কোন ফল হয়নি। উপরন্তু ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করার মাদ্রাসা ছাত্রদের মারধর করা হয়েছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেহের নিগার তনু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।