বিশেষ প্রতিবেদক ::
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা দুই দিনের অবরোধ শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহের হরতাল ও ৭২ ঘণ্টার অবরোধের তুলনায় এবারের অবরোধের প্রথম দিন রবিবার সুনামগঞ্জে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে জনমনে কিছুটা আতঙ্ক থাকলেও জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ছুটছেন মানুষ। শহরের বিভিন্ন এলকায় ঘুরে দেখা যায়, জীবিকার তাগিদে সকাল থেকেই ছুটছে লোকজন। সকালে শহরের আলফাত স্কয়ার এলাকা, ডিএস রোড, কালীবাড়ি মোড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানবাহন চলে অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতই। তবে অতীত অবরোধের অভিজ্ঞতায় কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছে জনসাধারণের মধ্যে। তারা বলছেন, বিএনপি-ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ঝটিকা হামলা চালিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করে। এ জন্য অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি বের করেননি।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন রাকিব হাসান। তিনি বলেন, শহরের পশ্চিম হাজীপাড়া, পশ্চিম মধ্যবাজার, হাছননগর এলকায় যানবাহনে হামলা চালিয়েছিল বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ জন্য একটু ভয় কাজ করছিলো। কিন্তু অফিসতো যেতে হবে। সকালে বের হয়ে দেখি অবরোধে তো সবকিছুই স্বাভাবিক। মানুষ এখন আর এসব কর্মসূচিতে সমর্থন দেবে না। অতীতে দেখেছি অবরোধে ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহনে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা। তাই কিছুটা আতঙ্কে আছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, অবরোধ ডেকে ফেললেই হলো? মানুষ দিনের পর দিন ঘরে বসে থাকতে পারবে? গত সপ্তাহে তিনদিন কাজ করতে পারেনি, জীবন স্বাভাবিক রেখে কর্মসূচি দিলে মানুষকে পাশে পেলেও পেতে পারে, অবরোধ ডেকে পাবে না। এই যে দেখে মনে হচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি চলছে, সবকিছুই তো স্বাভাবিক।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ও সেখানে সৃষ্ট সহিংসতার পরে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যার হরতাল পালিত হয়। এরপর রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন, ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা অবরোধ পালন করবে বিএনপি ও এর শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ। পরে জামায়াতও অবরোধের ডাক দেয়। সেটা শেষ হতেই ৫ও ৬ নভেম্বর আবারও অবরোধের ঘোষণা দেয় দলটি।