স্টাফ রিপোর্টার ::
‘শেখ রাসেল দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস বণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে।
শেখ রাসেলের দীপ্ত প্রত্যয়কে হৃদয়ে ধারণ করে এ দেশের শিশু-কিশোরদের উন্নত বাংলাদেশ নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় এই দিবস উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক নোমান বখত পলিন।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক রোকশানা পারভীন চৌধুরী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা পারভীন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী পীর মতিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আলী আমজদ, সিনিয়র আইনজীবী চাঁন মিয়া, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুচিত্রা রায়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ।
এর আগে ওইদিন সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে শেখ রাসেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বর্ণাঢ্য র্যালি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শেখ রাসেল দিবসের কেন্দ্রীয় মূল অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার উপভোগ করেন সুধীজন।
অনুষ্ঠান শেষে জেলা শিশু একাডেমি ও জেলা সরকারী গ্রন্থাগারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় জেলা শিশু একাডেমির শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণ এবং জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান পরিমল শর্মা উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে সরকারি শিশু পরিবারে শিশুদের নিয়ে কেক কাটা ও উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়।
বিকাল ৪টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় এবং সাড়ে ৪টায় সুনামগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।