তাহিরপুর প্রতিনিধি ::
তাহিরপুরে দ্বিতীয় বিয়ে করায় ব্লেড দিয়ে আজিজুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন তার প্রথম স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী জহুরা বেগমকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজারের পাশের কামড়াবন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জহুরা ওই গ্রামের শাহনুর মিয়ার মেয়ে। আর আহত স্বামী আজিজুল মিয়া একই গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ২০২১ সালে আজিজুল মিয়া ও জহুরা বেগম (২৫) দুজন নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েকমাস পর তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর থেকে জহুরা তার বাবার বাড়িতে থেকে তাহিরপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। পরে আজিজুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর আজিজুল প্রথম স্ত্রী জহুরাকে ডিভোর্স দেন। কিন্তু জহুরা দাবি করেন, তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়নি। দ্বিতীয় বিয়ের পরও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো আজিজুল। তার করা এক মামলায় কিছুদিন জেলেও ছিলেন আজিজুল। ঘটনার দিন জহুরাকে বলেই রাতে তার বাড়িতে যান আজিজুল। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে ব্লেড দিয়ে আজিজুলের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন জহুরা। পর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে, পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় জহুরার বাবা শাহনুর মিয়া বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে আজিজুল। টাকা না পেয়ে মেয়েকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো সে। এর মাঝে আজিজুল কিছু না জানিয়েই আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে। ঘটনার রাতে আমরা ঘুমে ছিলাম।
বাদাঘাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল হাসান বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে