প্রায়শই সংবাদ প্রকাশে দেখা যায়, বালু-পাথর বহনকারী নৌযান থেকে চাঁদা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। কিসের চাঁদা, কেন চাঁদা সেদিক খোলাসা করে না চাঁদাবাজরা। চাঁদাবাজদের কথামতো চাঁদা না দিলে নৌকার মাঝিদের ওপর চলে নানান ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন। গত ১৬ অক্টোবর দৈনিক সুনামকণ্ঠে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই জামালগঞ্জের সুরমা নদীতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাঁদা আদায় করছে বিআইডব্লিউটিএ’র ইজারাদার। এ বিষয়ে ইজারাদার চক্রের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা জামালগঞ্জ থানায় মামলাও দায়ের করেছেন।
জামালগঞ্জের দুর্লভপুর পয়েন্ট নিয়ে কো¤পানিগঞ্জ, ছাতক, সুনামগঞ্জ ও ফাজিলপুর কোয়ারির বালু-পাথরবাহী বাল্কহেড ও কার্গো সুরমা নদী হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করে থাকে। কিন্তু চাঁদাবাজদের অত্যাচারে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘেœ ব্যবসা করতে পারছেন না।
প্রকৃতপক্ষে, বিআইডব্লিউটিএ’র নিয়ম অনুযায়ী মালামাল লোড-আনলোডে টোলঘাট ব্যবহার করলে ইজারাদারকে নির্দিষ্ট হারে টোলট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু ইজারাদার সে নিয়মের ধার ধারছেন না। তিনি ও তার লোকজন নৌপথে চলতি নৌযান থেকে চাঁদা আদায় করছেন। চাঁদা দিতে অপারগতা জানালে নৌযানে থাকা শ্রমিকদের নির্যাতন করছেন। আমরা মনে করি, এই অবস্থা কিছুতেই চলতে দেয়া যায় না। এসব চিহ্নিত চাঁদাবাজদের হাত থেকে ব্যবসায়ী এবং নৌশ্রমিকদের রক্ষা করতে হবে। তাদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। এ জন্য ইজারাদার নামক চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নেই। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।