জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুরে আবারো বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন মাওলানা মইনুল ইসলাম পারভেজ। এবার মাহফিলে অন্য বিতর্কিত আলেমদের অতিথি করে তিনিও বিতর্কিত হয়ে পড়লেন।
স্থানীয়রা জানান, সুন্নী মতাদর্শে বিশ্বাসী জনতার উদ্যোগে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সুন্নী মতাদর্শের আলোকে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর মাদ্রাসায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এরই অংশ হিসেবে এবার ১৫ অক্টোবর রোববার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ২ জন ‘বিতর্কিত’ আলেমের নাম চিঠিতে লিপিবদ্ধ করা নিয়ে স্থানীয় সুন্নীপন্থী আলেম সহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ সার্কেল) বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষে হাফিজ হাবিবুর রহমানসহ ৫ জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম পারভেজ এলাকাবাসীর মতাদর্শকে উপেক্ষা করে তার একক সিদ্ধান্তে মিলাদুন্নবী বিরোধী কওমি আলেম সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ ও জামাতি আলেম মখছুছুল করিম চৌধুরীকে বিশেষ অতিথি করায় আমরা গত ১২ অক্টোবর সম্মিলিতভাবে মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষকে বিতর্কিত আলেমদেরকে অতিথি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ করলে তিনি কোন আশ্বস্ত করেননি। তাছাড়া মিলাদুন্নবী মাহফিল আয়োজনে তার একক ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে। তাই আমরা তাকে মাদ্রাসা হতে পদত্যাগের কথা বলে এসেছি। এহেন পরিস্থিতিতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
শনিবার ক্ষুব্ধ প্রতিবাদীদের মধ্যে অনেকে বলেন, প্রথমে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন মাওলানা মইনুল ইসলাম পারভেজ। পরে প্রবাসীর টাকা আত্মসাত মামলায় কারাভোগ করে এখন তিনি জামিনে আছেন। বর্তমানে ঈদে মিলাদুন্নবী মাহফিলে বিতর্কিত আলেমদের অতিথি করে নতুন করে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। যা কোন অবস্থায় কাম্য নয়।