পত্রিকায় প্রতিবেদন করা হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ব^বিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর সম্পর্কে। শিরোনাম করা হয়েছে, ‘এতো টাকা কোথায় থেকে পাচ্ছেন নূর?’ এর উত্তরে তাঁর টাকার ভিন্ন ভিন্ন উৎসের মূল আসলে একটাই চিহ্নিত করা হয়েছে। সে-মূল উৎস সম্পর্কে বলা হচ্ছে তিনি টাকা পাচ্ছেন, পার্টির সদস্যদের কাছ থেকে। তার ভিন্ন ভিন্ন প্রকারপ্রকরণ। যেমন পদ বাণিজ্য, কমিটি বাণিজ্য, প্রবাসী সদস্যদের চাঁদা কিংবা সহায়তা এবং ক্ষেত্রবিশেষেÑ যেমন পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, দামী গাড়ি ইত্যাদিÑ বিশেষ রকমের নাজরানা। কত তার রকমফের। এমন কি জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে তাকে বিশেষ উপহার দিতে প্রস্তুত আছেন কেউ কেউ, এমন তথ্যও পরিবেশিত হচ্ছে গণমাধ্যমে। আমিন আহমেদ আফসারি নামের একজন তো ‘একাত্তর টিভি’কে বলেছেন, ‘নুর আমাকে অফার করেছে প্রার্থী হবার এবং আমরা ১০টি সিট পাচ্ছি। আমি প্রার্থী হলে নির্বাচনের জন্য দুই কোটি টাকা আমাকে দেওয়া হবে এবং নূর পাবে এক কোটি টাকা। এভাবে ১০টি আসনের জন্য মোট ১০কোটি টাকা পাবে নুর, কিন্তু আমি এই অফার নাকচ করে দিয়েছি।;
এই যদি হয় দেশের রাজনীতির হাল-অবস্থা, তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা না হয়ে যায় না, একটি অনিশ্চিত অবস্থায় ভয়ঙ্কর দুর্দশার দিন কাটানোর জন্যে তৈরি থাকতেই হয়। বিদগ্ধ মহলের অভিমত এই যে, এমতাবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। বাণিজ্যভিত্তিক কিংবা ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনসাপেক্ষ এমন রাজনীতির উত্থান, আর যা-ই করুক, দেশের কোনও ভালো করতে পারবে বলে মনে হয় না। যে রাজনীতির শুরুটাই রাজনীতিকে দামি পণ্য করে তোলে হয়ে উঠে পরপদতলে আত্মসমর্পণভিত্তিক, সেটা দেশের কোনও মঙ্গল করতে পারবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া সাধারণ মানুষ মনে করেন যে, রাজনীতির এই দোকানদারির কোনও দরকার নেই, এটা চিরদিনের জন্য বন্ধ হোক।