স্টাফ রিপোর্টার ::
পুতুল নাচ। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনেকের কাছেই বিষয়টি নতুন। টিভিতে হয়তো কেউ কেউ দেখেছে। কিন্তু সামনা-সামনি আগে দেখা হয়নি অনেকের। তাই উচ্ছ্বাস ছিল বেশি। এ জন্য গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ পুতুল নাচের পরিবেশনা দেখে সবাই খুশি।
সোমবার সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ‘গণজাগরণের পুতুলনাট্য উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে এই দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পুতুল নাচ পরিবেশনা উপভোগ করে।
বাংলাদেশে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটের ওপর নির্মাণ করা পুতুলনাট্য ‘ভোর আসবেই’ পরিবেশন করে হবিগঞ্জ জেলা নবীগঞ্জ উপজেলার সাংস্কৃতিক সংগঠন গহীনপুর পাপেট। এর কাহিনী ছিল বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, মহান মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান, যুদ্ধদিনের নানা পর্বের গল্প, দেশের গান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন।
সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ে বেলা ১২টায় উদ্বোধনী পরিবেশনার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) হোসাইন আল মুহাজিদ, সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ফয়েজুর রহমান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খলিল রহমান, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী।
‘ভোর আসবেই’ পুতুলনাট্যটি পরিচালনা করেন আসাদ ইকবাল। এতে কুশীলব ছিলেন মেঘলা আক্তার, আসাদ ইশবাল, জান্নাত বেগম, ইয়াসমিন আক্তার, ইমা আক্তার, হাম্মাদ খান, শিমলা আক্তার, সিসফা আক্তার, আলফিনা বেগম, তৃণা বেগম, আদনান মিয়া, রিপা বেগম ও হাসান মিয়া। এদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।
পরে দুপুর একটায় দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয় শহরের সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঐতিহ্যের পুতুলনাচকে পরিচিত ও জনপ্রিয় করে তুলতে গণজাগরণের পুতুলনাট্য উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুতুলনাট্য প্রদর্শন করা হয়।