জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের বিছনা গ্রামের শিউলী বেগমকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে দাবি তুলে এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বাবা। রবিবার বিকেলে জামালগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নিহতের বাবা মতিবুর রহমান খাঁ এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে মতিবুর রহমান খাঁ বলেন, গত ৯ মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের কলকতখাঁ গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের কাছে আমার মেয়ে শিউলী বেগমকে বিবাহ দেই। কিন্তু বিবাহর পর থেকেই তার স্বামী সাইফুল ইসলাম, দেবর নূরুল ইসলাম ও শাশুড়ি সফিকুন নেছা যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত। পরবর্তীতে একাধিকবার গ্রাম্যসালিশে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করবেনা বলে মৌখিক অঙ্গীকার করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার মেয়ে শিউলী আমার বাড়িতে চলে আসে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহ¯পতিবার শিউলীর স্বামী সাইফুল ইসলামসহ তার আত্মীয়-স্বজন পুনরায় আমার মেয়েকে তার বাড়িতে নিতে আসে। আমার মেয়েকে ওইদিনই তার স্বামীর সাথে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। বৃহ¯পতিবার বিকেলে নেওয়ার পর ওইদিন রাতেই আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এই হত্যার খবর আমাকে না জানিয়ে পরদিন শুক্রবার আমার মেয়েকে উপজেলা থেকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিকেলে লোক মুখে শুনে আমি জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার মেয়েকে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তাই আমি আইনের মাধ্যমে দোষীদের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তার অভিভাবক আদালতে মামলা করেছেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।