স্টাফ রিপোর্টার ::
‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জে পালিত হয়েছে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ। এ উপলক্ষে রবিবার বেলা ১১টায় শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে সুবিধাবঞ্চিত-বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি জেলা শাখা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, সরকার পথ শিশু ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করছে। পথশিশুরা এক সময় খুবই অবহেলিত ছিল। সরকারের নানা প্রচেষ্টায় আদর্শ নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জীবনমানের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে আমাদের। তাদের জীবনমানের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও কাজ করছে। তারাও একদিন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক শিশুকে লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে হবে। লেখাপড়ায় ও খেলাধূলায় দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া। তিনি বলেন, শিশুরা এখন শহরের অলিতে-গলিতে ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকসা চালিয়ে আসছে। মাদকের সাথেও জড়িত হচ্ছে। সকলে মিলে তাদেরকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ভাল জীবনযাপনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা খেলাঘর’র সভাপতি ও দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র স¤পাদক বিজন সেন রায় বলেন, শিশুদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে হবে। কারণ শিশুদের নিরাপত্তার খুবই অভাব রয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের ম্যানেজার উত্তম চক্রবর্তী, স্বপ্নডানা সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশর আব্দুল হামিদ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি জেলা শাখার শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণ বলেন, চলতি মাসের ২ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি আমরা সুষ্ঠুভাবে পালন করেছি। শিশুদের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে সরকার। সভায় শিশু বক্তা উন্মে মহুয়া ও ইমতিয়াজ আহমদ বক্তব্য রাখেন।
সভা সঞ্চালনা করেন অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাফাত উল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়।