1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০২:২১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

আন্তঃজেলা বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আছে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আরও নতুন কিছু বিমান (উড়োজাহাজ) কিনবো। এয়ারবাসের সঙ্গে এমওইউ সই হয়েছে। তারা আামদের কিছু লোনও দেবে। আন্তঃজেলায় বিমান যোগাযোগের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আমার আছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের আগে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ জলবায়ু পরিবর্তনে অভিঘাতে সারাবিশ্ব চিন্তিত। আমরা সেদিকে লক্ষ্য রেখে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ করেছি। ২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের যাত্রা শুরু হবে। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে, সে লক্ষ্য নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। এভিয়েশন খাতের আরও উন্নতি হোক। অতীতে এই খাতে উন্নয়নের এত পদক্ষেপ কেউ নেয়নি। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন, দেশের মানুষকে কিছু দিয়ে যেতে পারেননি। আওয়ামী লীগই দিয়েছে। মানুষের মধ্যে একটা আত্মমর্যাদাবোধ তৈরি করে দিয়েছি। বিশ্বের বুকে মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিমানবন্দরে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেওয়া হয়, তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে আরও এক কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যাবে। আমি বিশ্বাস করি, এটাই হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের হাব। আমরা সেভাবে তৈরি করছি। আপনারা জানেন, সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়। এক সময় বেশি বিমান পরিবহন হতো হংকংয়ে, এখন দুবাই করে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের হাব।
তিনি বলেন, নতুন কিছু বিমান (উড়োজাহাজ) কিনবো। এয়ারবাসের সঙ্গে এমওইউ সই হয়েছে। তারা আামদের কিছু লোনও দেবে।
সরকারপ্রধান বলেন, হযরত শাহজালাল বিমাবন্দরের নানামুখী উন্নয়নের পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। জাপানের জাইকা আমাদের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে ঋণ দিয়েছে, আমরাও কিছু বিনিয়োগ করেছি।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা আরও কিছু বিমান নিবো। তখন আন্তঃজেলা বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আমার রয়েছে।
এর আগে সকাল ১০টার পরে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি শিশুদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং কথা বলেন। পরে টার্মিনালের করিডোর ঘুরে দেখেন। বিমানন্দরের প্রক্রিয়া অনুযায়ী তিনি লাগেজ চেকিং করান, বোর্ডিং পাস নেন এবং যথারীতি ইমিগ্রেশনের কাজ শেষে কাউন্টার পার হন। পরে প্রি বোর্ডিং সিকিউরিটি স্ক্যান করান এবং চলন্ত ওয়াকওয়ে পার হয়ে বোর্ডিং ব্রিজে যান প্রধানমন্ত্রী।
তৃতীয় টার্মিনালের বিভিন্ন ¯পটে আলোকচিত্রে বিমান ও বিমানবন্দরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এগুলো অবলোকন করেন। পুরো প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নানা বিষয়ে ব্রিফ করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
বিমানবন্দরের এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে তৃতীয় টার্মিনাল প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছান। সেখানে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রীসহ পুরো অর্ডিয়েন্স দাঁড়িয়ে ঠোঁট মেলান। পরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ সমূহ থেকে পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমান সচিব মেকাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
পরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিমান ও বিমানবন্দরের উন্নয়নের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। বেবিচকের কর্মকা-ের ওপরও একটি ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, জাপান ও জাইকার প্রতিনিধি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য সহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com