1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

চলে গেলেন কবি আসাদ চৌধুরী

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কবি আসাদ চৌধুরী (৮০) মারা গেছেন। বুধবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ৩টায় কানাডার টরন্টোর আসোয়া শহরের লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা যায়, মাসখানেক আগে কবি আসাদ চৌধুরীর এনজিওগ্রাম করে দুটি ব্লকের ৯৯ ও ৮৮ শতাংশ সারানো হয়। এরপর তিনি বাসায় ছিলেন। হঠাৎ তার শরীর খারাপ করলে কানাডার ওসোয়ার হাসপাতালটিতে তাকে ভর্তি করা হয়। ফুসফুস ও হার্ট দুটিরই খুব জটিল অবস্থা ছিল। কবি আসাদ চৌধুরী কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে টরন্টোতে বসবাস করছেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে থাকেন অটোয়ায়।
প্রথম কবিতার বই ‘তবক দেওয়া পান’-এ পরিচিতি পান কবি আসাদ চৌধুরী। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছেন মানুষের মনে কবি আসাদ চৌধুরী। তার বাচনভঙ্গি, টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার জন্যও সর্বমহলে পরিচিত তিনি। এ ছাড়া মৌলিক কবিতা ছাড়াও শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী ও অনুবাদ করেছেন। তিনি কবি আল মাহমুদ পরিষদের সভাপতি ছিলেন।
১৯৮৩ সালে তার রচিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এছাড়া একই বছর তিনি স¤পাদনা করেন বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ ‘সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু’।
তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সখ্যও ছিল। তার বাবা আরিফ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কবি আসাদের কাঁধে হাত রেখে সাহস জুগিয়েছিলেন এবং প্রয়োজনে তার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৫৭ সালে আরমানিটোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬০ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় ¯œাতক (সম্মান) ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকে যাওয়ার পর কলেজে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে কবি আসাদ চৌধুরীর চাকরিজীবন শুরু করেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে শিক্ষকতা করেন। পরে ঢাকায় থিতু হয়ে তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবদিকতা করেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি ‘ভয়েস অব জার্মানি’র বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৩ সালে ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে যোগদান করে দীর্ঘকাল চাকরির পর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে অবসর নেন। উত্তর আমেরিকায় বাংলা সাহিত্যের অগ্রযাত্রা এবং সেখানকার সাহিত্যানুরাগীদের বাংলা ভাষা ও কৃষ্টিতে আকৃষ্ট করতে তার অবদান অসীম ও অনস্বীকার্য।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী এবং মায়ের নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম।

চলে গেলেন কবি আসাদ চৌধুরী
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কবি আসাদ চৌধুরী (৮০) মারা গেছেন। বুধবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ৩টায় কানাডার টরন্টোর আসোয়া শহরের লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা যায়, মাসখানেক আগে কবি আসাদ চৌধুরীর এনজিওগ্রাম করে দুটি ব্লকের ৯৯ ও ৮৮ শতাংশ সারানো হয়। এরপর তিনি বাসায় ছিলেন। হঠাৎ তার শরীর খারাপ করলে কানাডার ওসোয়ার হাসপাতালটিতে তাকে ভর্তি করা হয়। ফুসফুস ও হার্ট দুটিরই খুব জটিল অবস্থা ছিল। কবি আসাদ চৌধুরী কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে টরন্টোতে বসবাস করছেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে থাকেন অটোয়ায়।
প্রথম কবিতার বই ‘তবক দেওয়া পান’-এ পরিচিতি পান কবি আসাদ চৌধুরী। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছেন মানুষের মনে কবি আসাদ চৌধুরী। তার বাচনভঙ্গি, টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার জন্যও সর্বমহলে পরিচিত তিনি। এ ছাড়া মৌলিক কবিতা ছাড়াও শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী ও অনুবাদ করেছেন। তিনি কবি আল মাহমুদ পরিষদের সভাপতি ছিলেন।
১৯৮৩ সালে তার রচিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এছাড়া একই বছর তিনি স¤পাদনা করেন বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ ‘সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু’।
তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সখ্যও ছিল। তার বাবা আরিফ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কবি আসাদের কাঁধে হাত রেখে সাহস জুগিয়েছিলেন এবং প্রয়োজনে তার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৫৭ সালে আরমানিটোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬০ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় ¯œাতক (সম্মান) ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকে যাওয়ার পর কলেজে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে কবি আসাদ চৌধুরীর চাকরিজীবন শুরু করেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে শিক্ষকতা করেন। পরে ঢাকায় থিতু হয়ে তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবদিকতা করেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি ‘ভয়েস অব জার্মানি’র বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৩ সালে ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে যোগদান করে দীর্ঘকাল চাকরির পর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে অবসর নেন। উত্তর আমেরিকায় বাংলা সাহিত্যের অগ্রযাত্রা এবং সেখানকার সাহিত্যানুরাগীদের বাংলা ভাষা ও কৃষ্টিতে আকৃষ্ট করতে তার অবদান অসীম ও অনস্বীকার্য।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী এবং মায়ের নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com