স্টাফ রিপোর্টার :
‘লেট আস নো দ্য ইউনিভাস’ (চলুন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে জানি) শীর্ষক একক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে আলোচক ছিলেন ভারতের আগরতলা মহারাজা বীরবিক্রম কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক (রসায়ন) পূর্ণেন্দু কান্তি দাশ। সোমবার রাতে সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অধ্যাপক পূর্ণেন্দু কান্তি দাশ বলেন, ২০ হাজার বছর আগে বিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়েছে। তখন থেকে মানুষ আকাশ দেখতে শুরু করে। তারা পরিচ্ছন্ন আকাশে দেখতেন বিন্দু বিন্দু কী যেন দেখা যায়। এ নিয়ে ভাবতে শুরু করেন তারা। এই থেকে বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়।
পূর্ণেন্দুকান্তি দাশ আরও বলেন, সূর্য্যকে কেন্দ্র করে আটটি গ্রহ আছে। কিন্তু কেউ কেউ বলেন নয়টি গ্রহ। আলো এক সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার চলতে থাকে। এক বছরে চলবে সাড়ে নয় লক্ষ কোটি কিলোমিটার। এই দূরত্বকে বলা হয় আলোকবর্ষ। দুই বছর চলতে থাকলে দুই আলোক বর্ষ বলা হয়। তিনি জানান, একেবারে কাছের সূর্য সোয়া চার আলোক বর্ষ দূরত্বে আছে।
অধ্যাপক পূর্ণেন্দু কান্তি দাশ বলেন, প্রতি রাতে খালি চোখে ছয় হাজার তারা দেখা যায়। এই তারা ঘুরতে থাকে। সূর্য ঘুরে, পৃথিবীও ঘুরে। কিন্তু আমাদের অনুভবে আসে না। সূর্য একবার ঘুরতে বিশ কোটি বছর লাগে।
তিনি জানান, একটি গ্যালাক্সিতে সাড়ে দশ হাজার কোটি তারা আছে। এই গ্যালাক্সির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে এক লক্ষ আলোকবর্ষ লাগে। তিনি আরও বলেন, এক হাজার তিন শ’ আশি কোটি বছর আগে কিছুই ছিল না।
আলোচনা অনুষ্ঠান শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খলিল রহমান পরিচালনা করেন। এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন লেখক কবি সুখেন্দু সেন।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক পূর্ণেন্দু কান্তি দাশের বক্তব্যের শেষে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ মুহিবুল ইসলাম, পূর্ণেন্দু কান্তি দাশের সহধর্মীণি অধ্যাপক অনিমা দেবও বক্তব্য রাখেন। রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সুনামকণ্ঠ সম্পাদক ও প্রকাশক বিজন সেন রায়, পৌর কলেজের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, অ্যাড. এনাম আহমেদ, অ্যাড. নিরঞ্জন তালুকদার, গবেষক সুবাস উদ্দিন, প্রভাষক দুলাল মিয়া, প্রভাষক এনামুল কবির, কবি ইকবাল কাগজীসহ শিক্ষক, আইনজীবী, কলেজ শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন।